কমলালেবুর স্বাদ আকৃষ্ট না করলেও, এটি অ্যাসকরবিক অ্যাসিড অর্থাৎ ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, যার মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব। এছাড়া ভাইরাল সংক্রমণের ঝুঁকি হ্রাস পেতে সাহায্য করে ভিটামিন সি। এমতাবস্থায় সর্দি, কাশি, জ্বরের মতো রোগের সমস্যা সহজে দেখা দেয় না। কমলার অনেক উপকারিতা থাকলেও এর অপকারিতাও রয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কাদের অতিরিক্ত কমলালেবু খাওয়া উচিত নয়।
অ্যালার্জির কারণে কমলালেবু খেলে মারাত্মক ঝুঁকি দেখা দিতে পারে। প্রথমবার কমলালেবু খেলেও বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। কমলালেবুর কারণে ত্বকে জ্বালাপোড়া ও চুলকানি হতে পারে। এছাড়া কমলালেবু খেলে অনেক মানুষের ত্বক লাল হয়ে যাওয়া, গলা ফুলে যাওয়া, ফুসফুসে সমস্যা এবং চোখে অ্যালার্জি হতে পারে। কমলার বীজে পাওয়া যায় লিমোনিন। এগুলি একটি উচ্চ ধরণের ফাইটোকেমিক্যাল যা সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।
অতিরিক্ত কমলালেবু খেলে ত্বক ফুলে যাওয়া এবং সূর্যের রশ্মি ত্বকে প্রভাব ফেলার মতো বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। কমলার কারণে ফটোটক্সিসিটির শিকার হতে পারে মানুষ। অনেকেই টক ফল এবং সবজির প্রতি সংবেদনশীল, এই সমস্যাটিকে বলা হয় সাইট্রাস সেনসিটিভিটি এই সমস্যা এড়াতে কমলালেবু এবং লেবু খাওয়া খুব কম করা উচিত, অন্যথায় ঠোঁট, জিহ্বা এবং গলায় চুলকানি অনুভব হতে পারে।