ভারতে মানসিক স্বাস্থ্যের অবস্থা খুবই উদ্বেগজনক। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, প্রতি ৭ জনের মধ্যে ১ জন কোনও না কোনও মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন, এর মানে হল দেশে মানসিক রোগে ভুগছেন প্রায় ১৫ কোটি মানুষ। কিন্তু এর মধ্যে মাত্র ১০-১২ শতাংশ মানুষ সঠিক চিকিৎসা পায়। মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ও সচেতনতার অভাবে সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছে না বহু মানুষ। সরকারী প্রচেষ্টা সত্ত্বেও মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবার প্রাপ্যতা এবং গুণমান বাড়ানোর বিষয়ে এখনও অনেক পিছিয়ে রয়েছে। তথ্য অনুসারে, ভারতে মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতির জন্য অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার, তবে এই পরিষেবাগুলি সীমিত।

সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, দেশে সরকারি মানসিক স্বাস্থ্য হাসপাতাল রয়েছে মাত্র ৪৭টি, এর মধ্যে ৩টি প্রধান কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এক বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড নিউরোসায়েন্সেস, দুই আসামের তেজপুরের জনপ্রিয় গোপীনাথ বর্দোলোই আঞ্চলিক মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট এবং রাঁচির সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অফ মেন্টাল হেলথ। এই সব হাসপাতালে চিকিৎসক ও রোগীর অনুপাত খুবই কম, অর্থাৎ একজন ডাক্তারকে অনেক রোগী দেখতে হয়, যার কারণে সব রোগী সময়মতো সঠিক চিকিৎসা পায় না।

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য কর্মসূচির অধীনে তৈরি করা হয়েছে ২৫টি ভালো মানসিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র। একই সঙ্গে ১৯টি সরকারি মেডিকেল কলেজে চালু করা হয়েছে ৪৭টি নতুন বিভাগ, যাতে থাকেন মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। ২২টি নতুন AIIMS হাসপাতালে দেওয়া হচ্ছে মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবাও৷ ৭৬৭টি জেলায় বাস্তবায়িত হয়েছে জেলা মানসিক স্বাস্থ্য কর্মসূচি, এর আওতায় রয়েছে জেলা হাসপাতাল, কমিউনিটি হেলথ সেন্টার এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, যেখানে মানসিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করার পাশাপাশি কাউন্সেলিং, ওষুধ এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। আয়ুষ্মান আরোগ্য মন্দিরের অধীনে তৈরি করা হয়েছে ১ লক্ষেরও বেশি ছোট স্বাস্থ্য কেন্দ্র, প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র, আরবান প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং নগর স্বাস্থ্য ও সুস্থতা কেন্দ্র। মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবাও পাওয়া যায় এই কেন্দ্রগুলিতে।