
শীত হোক বা গ্রীষ্ম, চা পান করা প্রতিটি ভারতীয়র প্রিয় পানীয়। সুসংবাদ আসুক বা কেউ অসুস্থ থাকুক, তবুও অবশ্যই এক কাপ চা চাই মানুষের। চা প্রেমীরা এক কাপ চায়ের জন্য মাইলের পর মাইল ভ্রমণ করতে পারে। শীতকালে মানুষ শরীর গরম করার জন্য প্রচুর চা পান করে। এমনই একটি চা হল আদা চা। আদা চায়ের স্বাদ বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে চায়ের সঙ্গে সঠিক পদ্ধতিতে আদা যুক্ত না করা হয়, তাহলে চায়ের স্বাদ নষ্ট হতে পারে। আদা প্রয়োগের দুটি উপায় এবং প্রভাব রয়েছে। কড়া এবং ঝাল চায়ের জন্য আদা পিষে নেওয়া হয়। আদা হালকা করে পিষে ফুটন্ত জলে ২-৩ মিনিট ফুটিয়ে নিয়ে তারপর চা পাতা এবং দুধ দিতে হয়। আদার রস এবং ঝাঁঝালো স্বাদ দ্রুত বেরিয়ে আসে।
চা আরও ঝাল এবং উষ্ণ হয়ে ওঠে। কড়া আদা চা সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। হালকা এবং সুষম স্বাদের জন্য আদা কুঁচি করে কেটে যোগ করা হয়। এর জন্য আদা পাতলা করে কেটে জলে যোগ করে ধীরে ধীরে ফুটিয়ে তারপর চা পাতা এবং দুধ যোগ করা হয়। এর স্বাদ হয় মৃদু কিন্তু ভারসাম্যপূর্ণ। আদা চা করার সময় কিছু বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি। কাঁচা আদা সরাসরি দুধে মেশানো উচিত নয় এতে দুধ জমাট বাঁধতে পারে। খুব বেশি আদা যোগ করলে চা খুব তীব্র এবং তিক্ত স্বাদের হয়ে যেতে পারে। কড়া এবং মশলাদার চা চাইলে আদা গুঁড়ো করে যোগ করতে হবে। হালকা স্বাদ চাইলে কুঁচি করে কেটে আদা যোগ করতে হবে।
আদা চা স্বাদে অসাধারণ হওয়ার সঙ্গে স্বাস্থ্যের জন্যও খুবই উপকারী। এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ঔষধি গুণাবলী এটিকে একটি চমৎকার স্বাস্থ্যকর পানীয় করে তোলে। আদাতে অ্যান্টি-ভাইরাল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এটি গলা ব্যথা কমায় এবং কফ জমা থেকে মুক্তি দেয়। এটি বন্ধ নাক খুলতে এবং শরীর উষ্ণ রাখতে সহায়ক। আদা গ্যাস, অ্যাসিডিটি এবং পেটের ব্যথা উপশমে সাহায্য করে। এটি পাচক এনজাইমগুলিকে সক্রিয় করে দ্রুত খাবার হজম করতে সাহায্য করে। এটি বমি, বমি বমি ভাব এবং সকালের অসুস্থতার ক্ষেত্রেও উপকারী। আদাতে প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা জয়েন্ট এবং পেশীর ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। মাইগ্রেন বা মাথাব্যথা হলে আদা চা পান করলে আরাম পাওয়া যায়।