RR's Vaibhav Suryavanshi carries drinks (left) and pickle juice (right) (Photo credit: X @veejuparmar and Fit Cart)

Pickle Juice:  রমরমিয়ে চলছে আইপিএল ২০২৫ (IPL 2025)। বেশীর ভাগ দলই আগামী কদিনের মধ্যে ৭টি করে ম্যাচ খেলে ফেলবে। মানে লিগ পর্যায়ের অর্ধেক খেলাই শেষের মুখে। এবারের আইপিএলে একটা জিনিস বারবার দেখা যাচ্ছে। ক্রিকেটারদের পেশীতে টানা ধরা বা ক্র্যাম্পের (Cramp) ক্ষেত্রে, কিংবা কিছুটা অসুস্থ হলেই ডাক্তার, ফিজিও-রা আসছেন, তরপর কিছুক্ষণ পরেই তাঁদের পিকল জুস পান করতে দেওয়া হচ্ছে। বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম ফিট ক্রিকেটার বিরাট কোহলি থেকে সঞ্জু স্যামসনদের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে বিষয়টি। তবে শুধু আইপিএল নয়, ২০২৩ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউ জিল্যন্ডের বিরুদ্ধে পেশীতে টান ধরার পর বিরাট কোহলিকে পিকল জুস পান করতে দেখা গিয়েছে।

সব খেলাতেই বাড়ছে পিকল জুসের ব্যবহার

পেশাদার টেনিসও গত কয়েক বছর ধরে খেলোয়াড়রদের পিকল জুস ব্যবহার করতে দেখা যাচ্ছে। ইংল্যান্ড মহিলা দলের তারকা ক্রিকেটার টামি বিউমাউন্ট সম্প্রতি এক ইন্টারভিউতে বলেন, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ২০৮ রানের ইনিংস খেলার সময় একটা জায়গায় পেশীতে টানের জন্য মাঠ ছাড়তে চেয়েছিলেন। কিন্তু ফিজিও আর পিকল জুসের জন্য তিনি ডবল সেঞ্চুরি পান। আরও পড়ুন-আইসিসি পুরুষ ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান পদে পুনরায় নিযুক্ত হলেন সৌরভ গাঙ্গুলী

কী থাকে পিকল জুসে

কিন্তু কী থাকে পিকল জুসে? আইপিএলে বা বিভিন্ন খেলার মাঝে খেলোয়াড়রা যে পিকল জুস পান করেন তাতে থাকে জল, সোজডিয়াম, পটাসিয়াম ও ভিনিগার। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পিকল জুসে থাকা পটাসিয়াম ও সোডিয়াম থাকার ফলে সেটি পান করলে শরীরে নুন ও মিনারের ঘাটতি পূরণ করে। যা খেলার ধকলের ফলে শরীর ঘাটতি তৈরি হয়। এতে এছাড়াও পিকল জুসে নিউরোলজিক্যাল রিফ্লেক্স তৈরি করে যা পেশীকে টানের হাত থেকে বা মাসল ক্র্যাম্প রুখতে সাহায্য করে। খেলা চলাকালীন পিকল জুস পান করলে পেশীর টান ধরার সমস্যা থেকে অনেকটা রেহাই বা লাঘব মেলে বলে সম্প্রতি এক ম্যাগাজিনে দাবি করা হয়েছে। তবে পিকল জুসকে পথ্য বলা যেতে পারে,. আসল হল খেলোয়াড়ের ফিটনেস লেভেল ও ফিজিও-র দক্ষতা।