একবার হার্ট অ্যাটাক হলে ফের হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই হার্ট অ্যাটাক এড়াতে খাদ্যতালিকা সঠিক হওয়া খুবই জরুরি। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, খাদ্যাভ্যাস শরীরের ওজন, রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের মাত্রা এবং রক্তে সুগারের মাত্রার ওপর প্রভাব ফেলে। একবার হার্ট অ্যাটাক হলে বা কার্ডিওভাসকুলার রোগের জন্য প্রথমে চিকিৎসা করা উচিত। তবে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করে রোগের অগ্রগতি এবং হার্ট অ্যাটাকের পুনরাবৃত্তি প্রতিরোধ করা যেতে পারে। হৃদরোগীদের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য অনেক খাদ্য বিকল্প রয়েছে। হৃদরোগীদের খাদ্যতালিকায় সবজি ও ফল রাখা উচিত।
হৃদরোগীদের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই গোটা শস্য এবং স্বাস্থ্যকর প্রোটিন থাকা উচিত। মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড হার্টের জন্য খুবই ভালো বলে মনে করা হয়, তাই প্রচুর পরিমাণে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট তথা অ্যাভোকাডো, অলিভ অয়েল এবং বাদাম খাওয়া উচিত। এই সমস্ত খাবার খেলে খারাপ কোলেস্টেরল কমে এবং ভালো কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পায়, এর ফলে হার্টের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। গোটা শস্য, ফলমূল ও শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। বাদামী চাল এবং কুইনোয়ার মতো গোটা শস্য শরীরে রক্তে শর্করার মাত্রা এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে।
ফলমূল এবং শাকসবজিতে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা হৃদপিন্ডকে সুস্থ রাখে। ব্রকলি, গাজরের মতো শাক সবজি হার্টের জন্য ভালো। ক্যালসিয়াম, প্রোটিন এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ দুগ্ধজাত খাবার হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। কম চর্বিযুক্ত বা চর্বিহীন দুগ্ধজাত পণ্য উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবারের চেয়ে ভালো। চর্বিহীন দই, পনির ও দুধ যুক্ত করতে হবে খাদ্যতালিকায়। হার্টের রোগীদের লবণ কম খাওয়া উচিত। অল্প পরিমাণে লবণ গ্রহণ শরীরের জন্য ভালো, তবে অতিরিক্ত লবণ রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে, তাই খাদ্যে লবণের পরিমাণ কমিয়ে দিতে হবে। তবে লবণের পরিবর্তে ভেষজ এবং মশলা ব্যবহার করা যেতে পারে।