আমরা সবাই কম বেশি কোলাজেন শব্দটি শুনেছি। বার্ধক্য রোধ করতে বা বলিরেখা দূর করতে চাইলে শরীরে কোলাজেনের উৎপাদন সঠিকভাবে চালিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। শরীরে সঠিকভাবে কোলাজেন উৎপাদন হলে ত্বক মসৃণ থাকে এবং ত্বকের তারুণ্য বজায় থাকে। প্রথমে জেনে নেওয়া যাক কোলাজেন কী? কোলাজেন হল একটি আঠা যা শরীরের ত্বক, হাড়, পেশী, লিগামেন্ট এবং টেন্ডনে পাওয়া যায়। কোলাজেন এক ধরণের প্রোটিন, যার ফলে ত্বকের নমনীয়তা অক্ষুণ্ণ থাকে এবং পেশী ও হাড়ের গঠন শক্তিশালী হয়। কোলাজেনের কারণেই ত্বক আরও হাইড্রেটেড দেখায়। কোলাজেন ত্বকের পাশাপাশি চুলের শক্তি ও বৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কোলাজেন নিয়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় বক্তব্য হল এটি বার্ধক্য রোধে সক্ষম। তবে কোলাজেন কি সত্যিই বার্ধক্য রোধে সক্ষম? সাধারণত দাবি করা হয় যে কোলাজেন সমৃদ্ধ খাবার খেলে এবং কোলাজেনযুক্ত পণ্য ব্যবহার করলে, বার্ধক্য স্পর্শ করতে পারে না। কিন্তু এই দাবিকে সম্পূর্ণ মিথ্যা বলা যায় না। কোলাজেন সমৃদ্ধ খাবার এবং পণ্যের সাহায্যে অবশ্যই শরীরে কোলাজেনের উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব। এই কোলাজেন কেবল বার্ধক্য প্রক্রিয়াকে ধীর করে দিতে পারে, তাকে সম্পূর্ণ আটকে রাখা অসম্ভব।
কোলাজেনের ঘাটতি পূরণের জন্য কিছু নির্দিষ্ট খাবার খাদ্যতালিকায় যুক্ত করা উচিত। মাছ খেতে পছন্দ করলে, এটি কোলাজেনের সেরা উৎস। বিশেষ করে স্যামন এবং ম্যাকেরেলের মতো মাছ খুবই উপকারী। এছাড়া ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল কোলাজেনের ভালো উৎস। সবুজ শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ থাকে, যার সাহায্যে কোলাজেনের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। ডিম কোলাজেন বৃদ্ধি করার একটি সহজ উপায়। এছাড়া শুকনো ফল কোলাজেন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। বিশেষ করে আখরোট এর জন্য সবচেয়ে ভালো বলে মনে করা হয়।