Saif Ali Khan Attacker Shariful Islam (Photo Credits: X)

মুম্বই, ৩১ জানুয়ারিঃ ধৃত শরিফুল ইসলামই প্রকৃত অপরাধী। রাতের অন্ধকারে তিনিই মুম্বইয়ের বান্দ্রা এলাকায় বলিউড অভিনেতা সইফ আলি খানের (Saif Ali Khan) আবাসনে প্রবেশ করেছিলেন। ১ কোটি টাকা দাবি করেছিলেন এবং পরে অভিনেতার উপর চড়াও হয়ে ছুটির হামলাও চালান। 'ফেসিয়াল রিকগনিশন' বা মুখ চেনার পরীক্ষার রিপোর্ট ইতিবাচক এসেছে বলেই মুম্বই পুলিশ সূত্রে খবর। ধৃতকে ঘরে সমস্ত দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাটল।

সইফ আলি খানের উপর হামলার ঘটনার পর অভিযুক্ত ব্যক্তিকে চিহ্নিত করার জন্যে একটি মাত্রই সূত্র ছিল পুলিশের হাতে। আর তা হল সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়া একটি আবছা মুখ। সেই ফুটেজ দেখেই মুম্বই পুলিশ  শরিফুলকে গ্রেফতার করেছিল। তবে শরিফুলের আগেও দুজনকে অভিযুক্তের সঙ্গে মুখের আদল মেলায় গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। গ্রেফতারির পর থেকে ধৃত শরিফুল বারবার দাবি করেছেন, সিসিটিভি ফুটেজে যাকে দেখা যাচ্ছে তিনি ওই ব্যক্তি নন। ধৃতের বাবাও আদালতে তেমনই দাবি করেন। এছাড়া একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, অপরাধস্থল থেকে সংগৃহীত আঙুলের ছাপের সঙ্গে ধৃতের আঙুলের ছাপ মেলেনি। এরপরেই সইফ-কাণ্ড অপরাধীর পরিচয় সম্পর্কে সন্দেহ আরও তীব্র হতে শুরু করে।

সইফ-কাণ্ডে শরিফুল ইসলামই আসল অপরাধীঃ

শরিফুলই কি আসল অভিযুক্ত নাকি এবারও মুম্বই পুলিশের সনাক্তকরণে কোথাও ভুল হয়েছে? বিভিন্ন মহল থেকে সেই প্রশ্নও উঠতে থাকে। এই পরিস্থিতিতে 'ফেস রিকগনিশন পরীক্ষার (Face Recognition Test) সিদ্ধান্ত নেয় মুম্বই পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়া মুখের সঙ্গে শরিফুলের মুখের 'ফেসিয়াল রিকগনিশন' পরীক্ষা করানোর জন্যে পাঠানো হয়। সেই রিপোর্ট অবশেষ হাতে এল পুলিশের। ৩১ জানুয়ারী, শুক্রবার ওই রিপোর্টে প্রকাশ পেয়েছে, । পরীক্ষায় সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়া মুখের সঙ্গে শরিফুলের মুখ মিলে গিয়েছে।

গত ১৬ জানুয়ারি গভীর রাতে বান্দ্রায় সইফের আবাসনে প্রবেশ করেন এক ব্যক্তি। অভিনেতার কাছে ১ কোটি টাকা দাবি করেন তিনি। এরপর সইফের সঙ্গে তাঁর ধ্বস্তাধস্তি বাধে। ছুরি দিয়ে অভিনেতার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছয়টি আঘাত করেন। রক্তাক্ত অভিনেতাকে দ্রুত লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যেখানে তাঁর একাধিক অস্ত্রোপচার করা হয় এবং পাঁচ দিন পর হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরেন নবাব।