প্রতি বছর ১০ জুলাই পালন করা হয় দীর্ঘমেয়াদী রোগ সচেতনতা দিবস। দীর্ঘমেয়াদী রোগ সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে পালন করা হয় এই দিনটি। যে রোগগুলি দীর্ঘদিন ধরে থাকে এবং যে রোগগুলির জন্য জীবনে গভীর প্রভাব পড়ে, তাকে বলা হয় দীর্ঘমেয়াদী রোগ। ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, ক্যান্সার এবং হাঁপানির মতো রোগগুলি হল দীর্ঘমেয়াদী রোগ। এই রোগগুলি ঠিক হতে সময় লাগে, এর জন্য প্রয়োজন হয় দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা এবং যত্নের। সঠিক তথ্য ও সতর্কতার মাধ্যমে এই রোগগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এই রোগের সাধারণ লক্ষণগুলি হল ক্লান্তি, দুর্বলতা, ব্যাথা, শ্বাসকষ্ট এবং ওজন বৃদ্ধি বা হ্রাস পাওয়া।
দীর্ঘমেয়াদী রোগগুলো থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বা এই রোগগুলো নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রয়োজন স্বাস্থ্যকর খাবার, দৈনিক ব্যায়াম, রুটিন চেকআপ এবং ওষুধের সঠিক ব্যবহার। সবসময় সুষম খাদ্য এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া উচিত। সুস্থ শরীরের জন্য খাদ্যতালিকায় ফল, সবজি, গোটা শস্য এবং প্রোটিন অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করতে হবে। সময়ে সময়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে। এর সাহায্যে রোগগুলোর অবস্থা এবং নতুন রোগ সঠিক সময়ে শনাক্ত করে চিকিৎসা করা যায়। এছাড়া চিকিৎসকের নির্দেশিকা অনুযায়ী সঠিক নিয়ম মেনে ওষুধ খেতে হবে।
সুস্থ শরীরের জন্য প্রয়োজন স্বাস্থ্যকর জীবনধারা। এর জন্য ধূমপান এবং অ্যালকোহলের মতো নেশা থেকে দূরে থাকতে হবে। এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এছাড়া মানসিক চাপ কমানো খুবই জরুরি। এর জন্য যোগব্যায়াম, ধ্যানের মতো পদ্ধতির সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। এর ফলে উন্নত হবে মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্য। দীর্ঘস্থায়ী রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া। স্বাস্থ্যকর জীবনধারা অবলম্বন করে সঠিক চিকিৎসা নিলে দীর্ঘমেয়াদী রোগ থেকেও মুক্তি পাওয়া সম্ভব।