প্রতি বছর ২৬ আগস্ট পালন করা হয় নারী সমতা দিবস। আন্দোলন এবং দীর্ঘ লড়াইকে স্মরণ করিয়ে দেয় এই দিনটি। নারী সমতা দিবস মানুষকে স্মরণ করিয়ে দেয় যে নারীরা সমতার জন্য কতটা লড়াই করা হয়েছে এবং বর্তমানেও কতটা লড়াই করে যেতে হচ্ছে। ১৯২০ সালে ভোট দেওয়ার অধিকার পেয়েছিল আমেরিকার নারীরা। ১৯ তম সংশোধনী পাসের পর, নারীরা রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রবেশ করে এবং সমাজের জন্য আওয়াজ তোলা শুরু করে। আমেরিকান গৃহযুদ্ধের সময়, পুরুষদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছিল মহিলারা। তারা হাসপাতালে সেবা করেছে, খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে এবং আহতদের যত্ন নেওয়ার কাজ করেছে। এই সময়ে বোঝা যায় নারীরাও সমাজে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

১৯ শতকের মাঝামাঝি থেকে নারী অধিকার আন্দোলন গতি পেতে শুরু করে আমেরিকায়। বিয়ের পর সম্পত্তির অধিকার, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সমান সুযোগের মতো বিভিন্ন বিষয়ের উপর আওয়াজ তুলেছিল নারীরা। ১৯২০ সালে মার্কিন সংবিধানের ১৯ তম সংশোধনী পাস হয়, যার অধীনে ভোট দেওয়ার অধিকার পায় নারীরা। এটি মহিলাদের জন্য একটি বড় জয় ছিল এবং নারী অধিকার আন্দোলনকে একটি নতুন দিকনির্দেশনা দেয়। এই দিনটি মানুষকে মনে করিয়ে দেয় যে দিনের পর দিন লড়াই করার পর ভোটের অধিকার পায় নারীরা।

সমাজ পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী নারীদের সকল অর্জনকে পালন করার দিন নারী সমতা দিবস। লিঙ্গ সমতার বিষয়ে মানুষকে সচেতন করা হয় এই দিনে। বিশ্বের অনেক জায়গায় নারীরা এখনও বৈষম্যের শিকার হচ্ছে, তাই নারী সমতা দিবস মানুষকে মনে করিয়ে দেয় যে নারীদের জন্য এখনও অনেক কিছু অর্জন করা বাকি। নারী সমতা দিবসের উদ্দেশ্য হল লিঙ্গ সমতা প্রচার করা, অর্থাৎ নারী ও পুরুষের সমান অধিকার, সুযোগ ও সম্মান পাওয়া উচিত। শিক্ষা, চাকরি ও রাজনীতিতে পুরুষের সমান সুযোগের অধিকারী নারীরাও। সমাজে নারী পুরুষ সম্পর্কে যে স্টিরিওটাইপিক্যাল ধারণা রয়েছে তা ভাঙার চেষ্টা করে নারী সমতা দিবস।