Shab-e Barat (File Photo)

শবে বরাত (Shab-e-Barat) মুসলিম সমাজের অন্যতম পবিত্র উৎসব (Muslim Festival), যা ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষরা পালন করেন নিষ্ঠা সহকারে। ফারসি শব্দ ‘শবে বরাত’ এর অর্থ হল সৌভাগ্য এবং ক্ষমার রাত্রি। । সারা বিশ্বের ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা পালন করেন এই পরব। ইসলামী ক্যালেন্ডারের অষ্টম মাস অর্থাৎ শাবান মাসের ১৪ ও ১৫ তম রাতে এই উৎসব পালন করার রীতি। শবে বরাতকে ইসলামী বর্ষপঞ্জির পবিত্রতম রাত হিসাবে মনে করা হয় যা লাইলাতুল-বরাত বা লাইলাতুল-বারা বা মধ্য শাবান নামেও পরিচিত।

আগামী ১৪ শাবান অর্থাৎ ৭ মার্চ ,মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশে পালিত হবে শবে বরাত বা লাইলাতুল বরাত। এদিকে ভারতে কবে শবে বরাত? জানা যাচ্ছে, মার্চ মাসের সাত তারিখ সন্ধ্যা থেকে ৮ তারিখ মার্চ মাসের সন্ধ্যা পর্যন্ত সবে বরাত পালন করা যাবে।

মহিমান্বিত রজনী হিসেবে মুসলিম সমাজে শবে বরাতের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। ইসলামের নবী হজরত মুহাম্মদ এই রাতে বান্দাদের ইবাদত ও বন্দেগিতে নিমজ্জিত থাকার নির্দেশ দিয়ে গিয়েছেন। হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী, আল্লাহ এই রাতে তাঁর বান্দাদের গুনহা(অপরাধ) মাফ(ক্ষমা) করে দেন, জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন। মহিমান্বিত এই রাতে তাই ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পরম করুণাময়ের থেকে অনুগ্রহ লাভের আশায় নামাজ পাঠ করে, কোরাণ তেলাওয়াত করেন এবং জিকিরে ডুবে থাকেন। অনেকেই এদিন রোজা রাখেন এবং গোপনে দান-খয়রাতের কাজ করে থাকেন। এদিন অতীতের পাপ কাজের জন্য আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করে থাকেন এবং ভবিষ্যত জীবনের কল্যাণ কামনা করে পয়গম্বরের কাছে। অনেকে, এই রাতে তাঁদের মৃত পূর্বপুরুষদের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য প্রার্থনার আয়োজন করেন। এই পবিত্র রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলীমরা আত্মীয়-প্রতিবেশী-দুঃস্থ মধ্যে হালুয়া, ফিরনি সহ নানারকমের খাবার বিতরণ করে থাকে। রাতে মসজিদ, কবরস্থান এবং মাজারে গিয়ে চলে প্রার্থনা।

হাদিস শাস্ত্রে 'শবে বরাত' -এর তাত্পর্যের কথা বলতে গিয়ে 'রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, আল্লাহ মধ্য শাবানের রাতে আত্নপ্রকাশ করেন এবং মুশরিক (আল্লাহ ছাড়া অন্য কারুর ইবাদত করে যে) ও হিংসুক ব্যতীত তাঁর সৃষ্টির সকলকে ক্ষমা করেন।