![](https://bnst1.latestly.com/wp-content/uploads/2020/08/Durga-Puja.jpg)
কলকাতা, ১৬ অক্টোবর: পুজো (Durga Puja 2020) আসছে। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবকে ঘিরে প্রস্তুতি তুঙ্গে, তবে বাদ সেধেছে মারণ রোগ করোনাভাইরাস। সামাজিক দূরত্ব বিধি মানতে গিয়ে মানুষ আজ বড়ই অসহায়। তবু তার মধ্যেই চলছে পুজোর কেনাকাটা। নিউমার্কেট, হাতিবাগানে উপচে পড়েছে কেনাকাটার ভিড়। সেই সঙ্গে পুজোর মুখে সংক্রমণের হার চতুর্গুণ হওয়ার সম্ভাবনাও প্রবল। এদিকে পুজো মণ্ডপে অঞ্জলি দিতে ঠিক কেমন ভিড় হতে পারে তা আগে থেকে আঁচ করতে পারছেন না পুজো উদ্যোক্তারা। করোনা আবহে পুজোর উপাচার ফুল বেলপাতা নিয়েও সন্দেহ দানা বাঁধছে। কোনওভাবেই যেন তা ভাইরাস বাহক না হয়ে যায়, বিষয়টি খেয়াল রাখতে বাড়ি থেকে ফুল বেলপাতা সাজিতে করে আনতে লা হয়েছে।
সেসব স্যানিটাইজও করা হবে। এদিকে পুজোর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলাদা করে কোনও নির্দেশিকা প্রশাসনের তরফে এখনও পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। তবে অঞ্জলির উপচার সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে উদ্যোক্তাদের একাংশ নিজেরাই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছেন। কোনও কোনও মণ্ডপে ফুল-বেলপাতাও স্যানিটাইজ করে নেওয়া হবে। কোনও উদ্যোক্তা আবার ভিড় এবং তা থেকে সংক্রমণের ঝুঁকির কথা মাথায় রেখে ভার্চুয়াল অঞ্জলির ব্যবস্থা রাখছেন। অন্যদিকে কলকাতা পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের সদস্য তথা ত্রিধারা সম্মিলনীর অন্যতম প্রধান উদ্যোক্তা দেবাশিস কুমার বলেন, 'ফুল-বেলপাতা যাতে মণ্ডপ পর্যন্ত নিয়ে আসতেও না-হয়, সেই জন্য ভার্চুয়াল অঞ্জলির ব্যবস্থা থাকবে। আমাদের পুজোয় অষ্টমীর অঞ্জলির ফেসবুক লাইভ হবে। সেটা দেখে যে যাঁর বাড়ি থেকে অঞ্জলি দেবেন।' এনিয়ে কলকাতা পুরসভার তরফে নির্দিষ্ট কোনও গাইডলাইন দেওয়া না হলেও উদ্যোক্তাদেরই সতর্ক থেকে এই ব্যবস্থা করতে হবে। জানান, দেবাশিস কুমার। আরও পড়ুন-Vivek Sahay COVID-19 Positive: করোনা আক্রান্ত মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা অধিকর্তা বিবেক সহায়, ভর্তি হাসপাতালে
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ এনভায়রনমেন্টাল স্টাডিজের শিক্ষক তড়িৎ রায়চৌধুরী মনে করেন, 'ভিড় এড়ানো, মাস্ক-স্যানিটাইজার ব্যবহার বা শারীরিক দূরত্ববিধি মেনে চলার মতো পুজোর উপাচারের ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনাও নিশ্চয়ই ভাবার বিষয়। কারণ, সেগুলোর মাধ্যমেও করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে। তাই, পুজোর উদ্যোক্তা এবং আমাদের প্রত্যেককেই সতর্ক থাকতে হবে।'