
কলকাতা, ১৪ নভেম্বর: আজ কালীপুজো (Kali Puja 2020)। করোনা পরিস্থিতিতে কালীমন্দিরগুলিতে হবে না ভক্ত সমাগম, জমায়েত। তারাপীঠ, কালীঘাট, দক্ষিণেশ্বর, ঠনঠনিয়া সব জায়গাতেই প্রায় একই চিত্র। সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে লাইনে দাঁড়িয়ে পুজো দিতে হবে ভক্তদের। দক্ষিণেশ্বরেও (Dakshineshwar Temple) ভক্তদের করোনা বিধি মেনেই প্রবেশ করতে হচ্ছে।
দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে ভবতারিণী মায়ের পুজোর আয়োজন। সামাজিক দূরত্ব বিধি লাইনে দাঁড়িয়ে পুজো দিচ্ছেন ভক্তরা। ভিড় এড়াতে ঘিরে দেওয়া হয়েছে নাট মন্দির। ভোরে মন্দির খোলার পর শুরু হয় মঙ্গলারতি। এরপর ধূপ আরতি হয়। দুপুর ১টায় হবে ভোগ আরতি। এরপর হয় সন্ধ্যারতি। অন্যবারের তুলনায় এবার ভিড় যথেষ্টই কম। তবে রাতে ভিড় বাড়ার সম্ভাবনা আছেই। আরও পড়ুন, আলোর উৎসবে স্বাগত, শুভ দীপাবলির শুভেচ্ছা জানান এই বাংলা শুভেচ্ছাপত্রগুলি শেয়ার করে
করোনা আবহে কোভিড প্রোটোকল মেনেই হচ্ছে পুজো। পূজারীর মুখে মাস্ক। করোনা আবহে মন্দির চত্বরে তৈরি করা হয়েছে স্যানিটাইজিং টানেল। পরবর্তী ধাপে থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের পর মন্দিরে প্রবেশ করতে পারছেন ভক্তরা। ১৮৫৫ সালে রানি রাসমনি প্রতিষ্ঠা করেন দক্ষিণেশ্বরের কালী মন্দির। তারপর থেকে রামকৃষ্ণদেবের সাধনস্থলে পরিণত হয়েছে দক্ষিণেশ্বর মন্দির। রামকৃষ্ণের সাধক রূপ এখানে পরিপূর্ণতা লাভ করে।
কালী দশমহাবিদ্যার প্রথম রূপ। তাঁর রং কালো। প্রত্যেক মানুষের মধ্যেই আছে ষড়রিপু ষড়রিপু এরা হলেন কাম, ক্রোধ ,লোভ, মোহ, মায়া এবং মাৎসর্য। আর এই ষড়রিপু আমাদের খারাপ পথে নিয়ে যায়। যেহেতু মা কালী আদ্যা শক্তির দেবী অর্থাৎ শক্তি এবং সাহস অর্জন করার জন্য এই দেবীর পুজো করা হয়। কালী পুজোর মাধ্যমে আমরা আমাদের ভেতরে থাকা এই ষড়রিপুকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। মনের মধ্যে সকল অন্ধকার দূর করে সমাজের অন্ধকার দূর করতে সচেষ্ট হতে পারি। তাই শক্তির আরাধনা অবশ্যই প্রত্যেককে করতে হবে। একমাত্র শক্তিবান মানুষই পারে সকল বিপদ থেকে নিজেকে এবং পরিবারকে উদ্ধার করতে। তাই সমাজের সকল খারাপ বা অসৎ এবং অসামাজিক কাজকর্ম দূর করার জন্য শক্তির আরাধনা স্বরূপ আমরা দেবী কালীর পুজো ভক্তি সহকারে এবং শ্রদ্ধা সহ করি।