আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যার পাশাপাশি ত্বক ও চুলের সমস্যাও হতে পারে। চুল সংক্রান্ত সমস্যার মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ সমস্যা হল খুশকি, যার কারণে চুল সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। খুশকি হলে কাঁধ উপর পড়ে যা অনেক সময় অসস্তিকর পরিস্থিতি হয়ে দাঁড়ায়। শীতকালে খুশকির সমস্যা বেশি হলেও খুশকি যেকোনও সময় দেখা দিতে পারে। মাথার ত্বকের আর্দ্রতা কমে গেলে শুষ্কতার কারণে খুশকির সমস্যা দেখা দেয়। খুশকির কারণে মাথায় চুলকানির সমস্যা হয়। এই কারণে চুল ভেঙে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়।

খুশকির সমস্যা মাথার ত্বকের শুষ্কতার কারণের পাশাপাশি তৈলাক্ত মাথার ত্বক এবং ম্যালাসেজিয়া ও সেবোরিয়ার মতো কিছু ছত্রাক সংক্রমণের কারণেও বৃদ্ধি পায়। অনেক সময় পুষ্টির অভাব এবং হরমোন পরিবর্তনও খুশকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে ঘরোয়া উপায়ে তৈরি কর্পূর তেল পারে প্রাকৃতিকভাবে খুশকি দূর করতে।

কর্পূর তেল তৈরি করতে একটি পাত্রে চার টুকরোর মতো কর্পূর গুঁড়ো করে তাতে অর্ধেক লেবুর রস দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর নারকেল তেল গরম করে কিছুটা ঠান্ডা হয়ে গেলে লেবু কর্পূর মিশিয়ে নিতে হবে। কর্পূর তেল সপ্তাহে কমপক্ষে দুবার রাতে ঘুমানোর আগে লাগিয়ে সকালে হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই তেলের মাধ্যমে খুব শীঘ্রই খুশকি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

অ্যান্টি-ফাঙ্গাল গুণে ভরপুর এই কর্পূর তেল চুলের সব ইনফেকশন দূর করতে কাজ করে। কর্পূরের শীতল বৈশিষ্ট্য মাথার ত্বককে ঠান্ডা রাখে, যার ফলে খুশকির কারণে হওয়া জ্বালা দূর হয়। এই তেল চুলের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। এছাড়া লেবুর রস অ্যাসিডিক, এর ফলে ছত্রাকের সংক্রমণ দূর হয়।