২১ জুন। বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হবে দেশবাসী। এদিন সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে দেবে চাঁদ। আগুনের একটি গোল রিং শুধু দেখা যাবে এদিন আকাশে। সকাল ১০ টা থেকে রাত ১১.৫০ পর্যন্ত চলবে এই গ্রহণ। কমবেশি ১ মিনিট আকাশে এই দৃশ্য উপলব্ধি করতে পারবেন আপনি। রাজস্থান, হরিয়ানা এবং উত্তরাখণ্ড থেকে স্পষ্ট হবে এই বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ। তবে খালি চোখে কোনওভাবেই এই গ্রহণ দেখার চেষ্টা না করাই ভাল। ২১ জুন সকাল ৯.১২ মিনিটে গ্রহণ শুরু হবে। প্রথম পূর্ণ গ্রহণ শুরু হবে ১০.১৭ মিনিটে। পুরোপুরি সূর্যগ্রহণ শুরু হবে ১২.১০ মিনিটে এনং শেষ হবে দুপুর ২.০২ মিনিটে। ৩.০৪ নাগদ পুরোপুরি কেটে যাবে এই গ্রহণ। বিশেষজ্ঞদের দাবি, গ্রহণ চলাকালীন সূর্য, চাঁদ এবং অন্যান্য মহাকাশে থাকা অন্যান্য গ্রহগুলির মধ্যে মহাজাগতিক এক শক্তি বৃদ্ধি পায়। আর তার প্রভাব পড়ে পৃথিবীতে। যার জেরে এই সময় গর্ভবতী মহিলা, সন্তানসম্ভবা মহিলা কিংবা সদ্য মা হওয়া মহিলাদের সাবধানে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
সূর্যগ্রহণ কী আদৌ শিশুদের উপর কোনও প্রভাব ফেলে?
গর্ভবতী মহিলা কিংবা শিশুদের উপর আদৌ কী প্রভাব ফেলে গ্রহণ? এনিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে। বিজ্ঞানীদের দাবি, গ্রহণ কোনও প্রভাব ফেলে না। অন্যদিকে জ্য়োতিষ বিজ্ঞানীদের দাবি, নিজেকে সুরক্ষিত করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে তাতে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে।
গর্ভবতী মহিলাদের কী বাড়ির ভিতরে থাকা বাধ্যতামূলক?
গর্ভবতী মহিলাদের বাড়ির ভিতরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। কারণ কথিত আছে, সেই সময় বাড়ির বাইরে বেরোলে গর্ভস্থ সন্তানের শরীরে জন্মদাগ হয়ে যেতে পারে।
খালি চোখে গর্ভবতী মহিলাদের গ্রহণ দেখা উচিত নয়?
এই বিষয়টির সঙ্গে বৈজ্ঞানিক বিষয় জড়িয়ে রয়েছে। গর্ভবতী মহিলা হোক বা না হোক। কোনও ক্ষেত্রেই খালি চোখে আকাশ দেখা উচিত নয়। এতে রেটিনায় ক্ষত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
সূর্যগ্রহণে গর্ভবতী মহিলাদের জন্য সুরক্ষিত থাকার ছোট্ট কিছু টিপস:
পিন, সূঁচ কিংবা ছুড়ি। ধারাল বস্তু এই সময় এড়িয়ে যাওয়াই উচিত
গ্রহণের সময় ঘুমোনো উচিত নয়
সম্ভব হলে গ্রহণের আগে এবং পরে স্নান করা উচিত
মন্ত্রোচ্চারণ করা যেতে পারে, এতে একটি আলাদা শক্তি পাবেন আপনি
তবে অবশ্যই মনে রাখবেন এটা নিতান্তই মনের বিশ্বাস। কোনও প্রয়োজনে যদি আপনাকে বাড়ির বাইরে বেরোতে হয়। তাহলে ভয় পাবেন না। স্বাস্থ্যকর খাবার এবং প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া যেতে পারে এদিনে। যদি কোনওরকম অস্বস্তি দেখেন শরীরে। তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের থেকে পরামর্শ নিতে পারেন।