
কলকাতা, ১৫ জুলাই: পঞ্চায়েত নির্বাচনে সন্ত্রাস নিয়ে তৃণমূল সরকারকে আরও কোণঠাসা করতে ছক কষছে বিজেপি। পঞ্চায়েত ভোটে বড় জয়ের পরেও সন্ত্রাস ইস্যুতে চাপে তৃণমূল। এরই মাঝে মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুতে কংগ্রেসের ডাকে বিরোধী জোটের বৈঠককে গুরুত্ব দিল রাজ্যের শাসক দল। আগামী ২১ জুলাই দলের শহীদ দিবসের বড় কর্মসূচির ব্যস্ততার মাঝেও বিরোধী জোটকে গুরুত্ব দিলেন মমতা।
বেঙ্গালুরুতে কংগ্রেসের ডাকা বিরোধীদের বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে হাজির থাকবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ২৩ জুন পটনায় নীতীশ কুমারের ডাকা বিরোধীদের প্রথম মহাবৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মমতা-অভিষেক। আরও পড়ুন-দিল্লিতে প্রবল বৃষ্টির জেরে বাড়ছে জল, বিপদ সীমানায় যমুনা নদী
মমতা বিরোধী জোটকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। তবে রাজ্যে কংগ্রেস নেতাদের ভূমিকায় খুশি নন। তবু জোটের বৃহত্তর স্বার্থের কথা ভেবে কংগ্রেসের পাশে থাকছেন মমতা। জোর জল্পনা, বাংলায় কংগ্রেসকে দুটি লোকসভা আসন ছাড়তে রাজি হয়েছেন মমতা। তবে তার বদলে উত্তর পূর্ব ভারতের দুটি রাজ্যে কংগ্রেসের থেকে দুটি লোকসভা আসনে পাল্টা সমর্থন চাইছেন দিদি। যদিও এখন আসন বণ্টন নিয়ে নয়, ১০০ দিনের টাকা সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা আটকে রাখা, ইডি-সিবিআইয়ের অপব্য়বহার নিয়ে বিজেপি-র বিরুদ্ধে একজোট হয়ে দেশজুড়ে আন্দোলন গড়াই তৃণমূলের প্রধান লক্ষ্য।
এদিকে, পটনার মত বেঙ্গালুরুতেও উপস্থিত থাকতে চলেছে জেডি (ইউ), আরজেডি, সমাজবাদী পার্টি, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, শিবসেনা (উদ্ভব ঠাকরে), এনসিপি (শরদ পাওয়ার), সিপিআইএম, সিপিআই-য়ের মত দলের শীর্ষ নেতারা। কিন্তু বড় প্রশ্ন হল আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালের যোগদান নিয়ে। বিরোধীদের প্রথম বৈঠকটা ছিল নীতীশ কুমারের ডাকে। কিন্তু এবার বিরোধীদের বৈঠকের ডাক দিয়েছে কংগ্রেস। দিল্লির প্রশাসনিক ক্ষমতা ইস্যুতে কেন্দ্রের অধ্যাদেশ নিয়ে কেজরির অনুরোধের পরেও আপ-এর পাশে দাঁড়ায়নি কংগ্রেস। এই নিয়ে ক্ষুব্ধ আপ এবার বিরোধী বৈঠকে থাকবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। বিরোধীরে প্রথম বৈঠকে এনসিপি-র প্রতিনিধি হিসেবে যাওয়া প্রফুল প্য়াটেল এখন অজিত পাওয়ারের শিবিরে গিয়ে বিজেপির হাত ধরেছেন। এবার এনসিপি-র প্রতিনিধি হিসেবে শরদ পাওয়ার, সুপ্রিয়া সুলের সঙ্গে আসতে পারেন জয়ন্ত পাটিল। বিআরএস, বিএসপি, জেডি (ইউ), বিজেডি-এবারও বিরোধীদের বৈঠকে আসছে না।