মুখতার আব্বাস নাকভি (Photo Credits: ANI)

নতুন দিল্লি, ৭ এপ্রিল:  আগামী ৯ তারিখে শাব-ই-বরাত (Shab-e-Barat festival)। এদিকে লকডাউন চলছে। এই অবস্থায় আইন ভেঙে যাতে কিছু না হয় তা দেখতে কেন্দ্রীয় ওয়াকফ বোর্ডকে নির্দেশ দিলেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নাকভি। এই মরাণ ভাইরাসের প্রকোপের মাঝে যেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা বাড়িতে নামাজ আদায় করেন ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলেনে। শাব-ই-বরাতের দিনে বাড়ি নামাজ পরে আইন মানতে ইসলাম ধর্মাবলম্বী দেশবাসীকে অনুরোধ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কাউন্সিলের তরফে প্রতিটি রাজ্যের ওয়াকফ বোর্ডকে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে যাতে সেখান থেকে প্রতিটি এলাকার স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়ে দেওয়া হয়। কোনওভাবে মসজিদে নামাজ পড়ার জন্য ভিড় করা যাবে না। বাড়িতেই নামাজ পড়তে হবে।

তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী অনুরোধ দেশের মানুষ যেন অত্যন্ত সচেতনতা ও সততার সঙ্গে লকডাউনের বিধিনিষেধ মেনে চলে। বিশ্ব তেকে মারণ ভাইরাসকে নিশ্চিহ্ন করতে প্রত্যেকে যেন বাড়িতে শাব-ই-বরাতের নামাজ সারেন।” মঙ্গলবার ভারতে করোনা (Coronavirus) আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছালো ৪ হাজার ৪২১-এ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩২৪ জন। পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। সবমিলিয়ে দেশে মারণ রোগে মৃতের সংখ্যা ১১৪। সব থেকে সঙ্গীন অবস্থায় রয়েছে মহারাষ্ট্র। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৯০০ ছুঁয়ে ফেলেছে। দিল্লির তবলিঘি জমাতের কারণে তামিলনাড়ুতে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৩৩। দিল্লিতে কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগী ৫৪৯ জন। দেশের মধ্যে প্রথম করোনার গ্রাসে যায় কেরালা। গত সপ্তাহ পর্যন্ত আক্রান্তের নিরিখে মহারাষ্ট্রের পরে কেরালারই নাম ছিল। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৮৭ জন। এরপরেই রয়েছে তেলেঙ্গানা, উত্তর প্রদেশ ও রাজস্থান। যেখানে আক্রান্তের গড় সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়েছে। আরও পড়ুন-Rahul Gandhi Jabs Donald Trump: ভারতীয়দের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকলেই হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন বিদেশে পাঠাবে কেন্দ্র, ট্রাম্পের বদলার জবাব দিলেন রাহুল

পাঞ্জাব, বিহার, অসম, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ডে আক্রান্তের সংখ্যা এখনও ১০০ ছাড়ায়নি। ১০-এর নিচে আক্রান্তের সংখ্যা রয়েছে, মিজোরাম, মণিপুর, ত্রিপুরা, গোয়া, পুদুচেরি ও অরুণাচল প্রদেশে। করোনাভাইরাসের গোষ্ঠী সংক্রমণ রুখতে দেশজুড়ে ২১ দিনের লকডাউন চলছে। যদি হু হু করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে তো এই লকডাউন আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।