নতুন দিল্লি, ২৬ ডিসেম্বর: এই টুকরে টুকরে গ্যাংকে (Tukde-Tukde Gang) শিক্ষা দিতে চাইলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ (Amit Shah)। দিল্লিতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) নিয়ে বিক্ষোভকারীদের ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’ বলে চিহ্নিত করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এর আগে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছিলেন, যারা অশান্তি সৃষ্টি করছে, তাদের ওপরে বদলা নেওয়া হবে। অমিত শাহ এদিন সেই সুরেই বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে মন্তব্য করেছেন। তাঁর কথায়, “বিরোধী দলগুলি দিল্লিতে হিংসায় উস্কানি দিয়েছে। তারা নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মানুষকে ভুল বুঝিয়েছে।” সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের ফলে বিজেপি নেতৃত্ব ভেবেছিল মুসলিমদের একাংশের মধ্যে থেকে প্রতিবাদ আসবে। কিন্তু সিএএ-র বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে এত মানুষ রেগে উঠবেন বোঝা যায়নি।
এতদিন বিজেপি ভাবত জনরোষের সামলানোর অসীম ক্ষমতা নরেন্দ্র মোদির রয়েছে। তবে সিএএ ও এনআরসি বিরোধী বিক্ষোভ তা ভুল প্রমাণ করে দিয়েছে। মোদি যে দেশের মানুষের পালস বোঝেন না, তা একেবারে স্পষ্ট। এই বিক্ষোভের জেরে মোদির ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে সংখ্যা গরিষ্ঠতায় তার ছাপ পড়ার কোনও কারণ নেই। তাই বৃহস্পতিবার দিল্লিতে টুকরে গ্যাংকে শিক্ষা দেওয়ার কথা বললেন অমিত শাহ। সিএএ-র বিরোধিতায় ১৪৪ ধারাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিল্লির রাস্তায় দাপিয়ে মিছিল করেছিলেন প্রতিবাদীরা। পুলিশ জানিয়েছিল বেশ কিছু জায়গায় বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। প্রতিবাদ-বিক্ষোভ-মিছিলে অবরুদ্ধ হয়ে যায় দিল্লির রাজপথ। তবে কেবল দিল্লি নয় পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে লখনউ সহ উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গায়। ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ে দক্ষিণের বেঙ্গালুরু এবং ম্যাঙ্গালোরেও। এই বিক্ষোভের মাঝে পড়ে ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছেন বেশ কয়েকজন। আরও পড়ুন-Delhi Cold Wave: প্রবল শৈত্য প্রবাহের কবলে উত্তরভারত, ১২ বছরে ফের এমন শীতে কাঁপছে রাজধানী
#WATCH Home Minister Amit Shah: Congress party ke netritva me tukde-tukde gang jo Dilli ke ashanti ke liye zimmedar hai, isko dand dene ka samay aa gya hai. Dilli ki janata ne dand dena chahiye. pic.twitter.com/3qJKEHlE9h
— ANI (@ANI) December 26, 2019
এর আগে মঙ্গলবার সকালে মান্ডি হাউসের সামনে জড়ো হয়েছিলেন বহু ছাত্রছাত্রী। হাতে ছিল ভগৎ সিং, মহাত্মা গান্ধী ও আরও অনেকের ছবি। ছিল নাগরিকত্ব আইন এবং এনআরসি বিরোধী স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ডও। পুলিশ সূত্রে খবর, মান্ডি হাউস থেকে যন্তরমন্তর পর্যন্ত মিছিলের পরিকল্পনা ছিল পড়ুয়াদের। তবে তাঁদের অনুমতি দেয়নি পুলিশ। এরপর থেকেই বারবার প্রতিবাদ-বিক্ষোভ-মিছিলে উত্তাল হয়েছে রাজধানী শহর দিল্লি।