দিল্লি, ১১ ডিসেম্বর: সাম্প্রতিক কালে গৃহীত তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে দিল্লির সিঙ্ঘু সীমান্তে (Singhu border) আন্দোলনে বসেছেন চাষিরা। সেখানে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে মোতা হয়েছে পুলিশ বাহিনী। সেই পুলিশ বাহিনীর নেতৃত্বে থাকা দুই আইপিএস অফিসারের শরীরে মিলল মারণ ভাইরাসের জীবাণু। দিল্লি পুলিশ এই খবরের সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছে, একজন ডিসিপি ও একজন অতরিক্ত ডিসিপি করোনা আক্রান্ত। সিঙ্গু সীমান্তে আলিপুর থানায় আন্দোলনরত কৃষকদের বিরুদ্ধে এফআইআর ও দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ। অভিযোগ আন্দোলনরত কৃষকরা মহামারী আইনের আওতায় সামাজিক দূরত্ব বিধি-সহ অন্যান্য কোভিড প্রোটোকল অমান্য করেছেন। আরও পড়ুন-Farmers Protest: কৃষি আইন বাতিল না করা হলে রেল অবরোধ হবে, কেন্দ্রকে হুঁশিয়ারি কৃষকদের
ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকবার কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠক হলেও কৃষি আইন নিয়ে সমাধান সূত্র বেরোয়নি। কৃষক সংগঠনের নেতারা সাফ জানিয়েছেন, সাপ্র্তিক কালে গৃহীত তিন কৃষি আইনকে কেন্দ্রের প্রত্যাহার করতে হবে। আর কেন্দ্রের তরফে এর জবাবে বলা হয়েছে, দুটি আইনে সংশোধন আসতে পারে। প্রত্যাহারের কোনও প্রশ্নই নেই। এমনকী কৃষক নেতা হান্নান মোল্লার সঙ্গে এনিয়ে বৈঠকও করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই বৈঠকে দুজনে সহমত না হওয়ায় পরের দিনের বৈঠক বাতিল হয়ে যায়। তার বদলে কেন্দ্রের তরফে সিঙ্ঘু সীমান্তে পৌঁছায় আইন সংশোধনের প্রস্তাব। তার উত্তরে কৃষক নেতাদের এক কথা, যদি আইন প্রত্যাহারের কথা হয় তাহলে তাঁরা কনসিডার করবেন নচেৎ নয়। যদিও এরপর দুদিন কেটে গিয়েছে। তবে আন্দোলনরত কৃষকদের জন্যে আলোচনার দরজা খোলা রেখেছে মোদি সরকার। যেদিন কৃষক নেতারা আলোচনায় বসতে চাইবেন, সেদিনই বৈঠক হবে। এমনটাই জানানো হয়েছে।