আগরতলা, ২৮ নভেম্বর: ত্রিপুরা পুরভোটে মানরক্ষা হল বিজেপির। আগরতলা (Agartala)পুরসভার ৫১টি আসনের মধ্যে ৫১টি আসনেই জয়ী বিজেপি। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য ২৬টি আসনে জয় দরকার ছিল। ত্রিপুরায় ক মাস আগে শক্তি হিসেবে উঠে আসা তৃণমূল ১৬টি ওয়ার্ডে দ্বিতীয় স্থান উঠে এল। আজ, রবিবার ত্রিপুরায় ১৩টি পুরসভা এবং ৬টি নগর পঞ্চায়েতের নির্বাচনের গণনা চলছে। ষোলটি কাউন্টিং সেন্টারে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার সঙ্গে মোতায়েন রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। গণনাকক্ষ থেকে গণনাকেন্দ্র, মোতায়েন বর্ডার সিকিওরিটি ফোর্স (BSF) এবং সিআরপিএফ (CRPF)।
কাউন্টিং হলের বাইরেও নিরাপত্তায় মোতায়েন রাজ্য পুলিশ এবং ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলস। কোভিড বিধি মেনে গণনায় জোর। সকাল ৮টা থেকে গণনা শুরু হয়েছে। মোট ৩৩৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১১২টিতে ইতিমধ্যেই জিতে গিয়েছে বিজেপি (BJP)। আরও পড়ুন: টিকিট না পেয়ে তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসের হয়ে লড়বেন বিদায়ী কাউন্সিলার
আর ত্রিপুরার পুরভোটের ফল নিয়ে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ টুইটে লেখেন, ‘ত্রিপুরায় তৃণমূলের দু’মাসের সংগঠনকে ঠেকাতে এত হামলা, মামলা এবং তাণ্ডব চালানো হয়েছে। তার পরেও বহু ওয়ার্ডে দ্বিতীয় হয়েছে তৃণমূল। আমবাসা ওয়ার্ডে জিতেছে দল। দলের লড়াই আর মানুষের সমর্থনকে ধন্যবাদ।’
ত্রিপুরার ভোট প্রসঙ্গে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “বাংলায় তৃণমূলকে সুবিধা করে দেওয়ার জন্য নো ভোট ফর বিজেপি অভিযান চালিয়েছিল। আজও কলকাতার বিভিন্ন ফ্লাইওভারে এই পোস্টার দেখা যায়। স্বাভাবিক ভাবেই সেই নো ভোট ফর বিজেপি প্রচার কাকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য চালিয়েছিল সিপিএম, সেটা আগে তারা ঠিক করুক। তারপর না হয় ত্রিপুরা নিয়ে ভাববে।”
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবারের পুরভোটে হামলা, মারধর, ভোটদানে বাধা দেওয়ার বিস্তর অভিযোগ করেন বিরোধীরা। তৃণমূল ও বামেদের অভিযোগ তাঁদের প্রার্থীদের নিগ্রহ করা হয়েছে। সমস্ত অভিযোগের তির বিজেপির বিরুদ্ধে। যদিও সব অভিযোগ খারিজ করেছে ত্রিপুরার শাসকদল। ফলাফল ঘোষণার পর যাতে কোনও হিংসা না হয়, সেজন্য কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে আগাম বার্তা দিয়েছে বিপ্লব দেব (Biplab Deb) সরকার।