দিল্লি, ২৮ জুলাই: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হু হু করে বেড়ে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে জেলবন্দিদের সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের ভার্চুয়াল সাক্ষাতের অনুমতি দিল তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষ (Tihar Jail)। আগামী সপ্তাহ থেকেই ভার্চুয়ালি জেলবন্দিদের দেখতে পাবেন পরিবারের সদস্যরা। হিন্দুস্তান টাইমসের রিপোর্ট অনুসারে করোনার কাঁটা থেকে বাঁচতে এই ভাবেই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে স্কুল, কলেজের ক্লাস শুরু হয়েছে। চলছে বিভিন্ন অফিসের কাজও। জানা গিয়েছে, তিহাড়, রোহিণী, মান্ডোলি-সহ ১৬টি সাবজেল চত্বরে কম্পিউটর স্টেশন ইনস্টলের কাজ চলছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই তা সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। তারপর জেলবন্দিরা সেখান থেকেই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পরিজনদের দেখতে পাবে।
তিহাড় জেলের অনেক বন্দির বাড়ি দিল্লির বাইরে। তাই চাইলেও পরিজনরা তাদের দেখতে আসতে পারেন না। তাই মহামারীর পরেও এই ভিডিও কনফারেন্স পরিষেবা চালু রাখাতেই উৎসাহী জেল কর্তৃপক্ষ। এই মুহূর্তে প্রায় ১৪ হাজার বন্দি রয়েছে তিহাড় জেলে। মার্চের শেষের দিকে যখন ভারতে করোনার সংক্রমণ বাড়তে শুরু করল তখনই লকডাউনে চলে যায় গোটা দেশ। সেই সময় থেকে তিহাড়ের জেলবন্দিরা পরিজনদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পায়নি। আরও পড়ুন-US-China Tensions: চিনের টেনশন বাড়িয়ে সাংহাইয়ের আকাশে সাবমেরিন বিধ্বংসী মার্কিন যুদ্ধবিমানের নজরদারি
এদিকে ভারতে দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। একদিনে নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন প্রায় ৫০ হাজার নাগরিক। এই পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন জেলেও করোনার থাবা পড়েছে। যেখানে বন্দির সংখ্যা বেশি সেখানে সংক্রমণও বেশি। যেমন তামিলনাড়ুর জেলে ১৫০ জন বন্দির শরীরে মিলেছে মারণ ভাইরাসের জীবাণু। সেখানকার ৯২ জন জেলকর্মীও কোভিড-১৯ পজিটিভ। মহারাষ্ট্র দেশের মধ্যে সবথেকে করোনা বিধ্বস্ত রাজ্য। সেখানে অন্তত ৮০০ জেলবন্দি কোভিডের শিকার। একইভাবে অসমের জেলে করোনা আক্রান্ত বন্দির সংখ্যা ৮৪১। এসব দেখেই এখনও করোনা ছোঁয়াচ বাঁচিয়ে চলা তিহাড় ভিডিও কনফারেন্সেই ভরসা রাখছে।