Indian Navy Day 2019: দেশরক্ষায় নৌবাহনীর সাহসিকতা প্রশংসা যোগ্য, নৌসেনা দিবসে রইল গৌরব গাথার ঝলক
ভারতীয় নৌবাহনী(Photo Credits: Facebook)

দেশের সমুদ্রসীমা রক্ষায় ভারতীয় নৌসেনা বাহিনীর সাহসিকতা ও ভূমিকাকে স্মরণ করে প্রতিবছর ৪ ডিসেম্বর দিনটি নৌবাহিনী দিবস (Indian Navy Day 2019) হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। এই বিশেষ দিনে ভারতীয় নৌসেনার তরফে দেশের বেশ কয়েকটি সমুদ্র উপকূলে বিশেষ মহড়া চলে। পাশাপাশি মুম্বইয়ে ইন্ডিয়া গেটের সামনে নৌসেনার বিশেষ দুটি ব্যান্ডের দল বিটিং রিট্রিট করে। একইসঙ্গে এই দিনেই সাধারণ জনগণ ও স্কুল পড়ুয়াদের জন্য নৌবাহিনীর যুদ্ধ ও অন্যান্য সমরাস্ত্রের প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এবার আবার নৌসানর পাওান পাল্লা বেশ ভারী। গত ২ ডিসেম্বর ভারতীয় নৌসেনার ইতিহাসে শুরু হয়েছে নতুন অধ্যায়। দেশের নৌবাহিনীর পাইলটের দায়িত্বে প্রথম মহিলা পাইলট হিসাবে হাতেখড়ি হয়েছে লেফটেন্যান্ট শিবাঙ্গীর।

আর তার ঠিক দু'দিন পর ৪ ডিসেম্বর ভারতীয় নৌসেনা দিবস। কিন্তু কেন ৪ তারিখ পালিত হয় দিনটি। এর পিছনে আছে স্বাধীনতা পরবর্তী ভারতীয় সমর ইতিহাসের এক গৌরবময় ঘটনা। ১৯৭১ সালে ভারত-পাক যুদ্ধের সময় প্রথমবার ভারতীয় নৌবাহিনী পাকিস্তানের উপকূলে প্রবেশ করে সরাসরি যুদ্ধ করে। করাচি বন্দরে প্রথমবার অ্যান্টিশিপ মিসাইল দিয়ে ধ্বংস করে পাকিস্তানের একাধিক জাহাজ। এই অভিযানের নাম ছিল অপারেশন ট্রাইডেন্ট। এই অভিযানে ছিল ভারতীয় নৌসেনার তরফে তিনটি যুদ্ধ জাহাজ। আইএনএস নিপাত, আইএনএস নির্ঘাত এবং আইএনএস বীর। আরও পড়ুন-P Chidambaram Granted Bail by Supreme Court: অবশেষে ২ লক্ষের বন্ডে জামিনে মুক্ত পি চিদাম্বরম, কংগ্রেস বলছে সত্যের জয়

এই তিন যুদ্ধ জাহাজ গুজরাটের ওখা বন্দর থেকে রওনা হয় পাকিস্তানের করাচি বন্দরকে লক্ষ্য করে। রাতের মধ্যে করাচি উপকূল থেকে ৭০ মাইল দূরে পৌঁছায় ভারতের এই তিন যুদ্ধ জাহাজ। মুহূর্তের মধ্যে অ্যান্টিশিপ মিশাইল দিয়ে ধ্বংস করে পাকিস্তানের পিএনএস খাইবার। পাশাপাশি ধ্বংস করে আরও বেশ কয়েকটি জাহাজ। এই বিশেষ অভিযানের জন্য ভারতীয় নৌবাহিনী সম্মানিত করে জয়ী যুদ্ধ জাহাজের সকল সেনা ও আধিকারিকদের। এই বিশেষে দিনটিকে স্মরণ করেই প্রতি বছর ৪ ডিজেম্বর পালিত হয় নৌসেনা দিবস।