বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা Michael Ryan

জেনেভা, ১১ মেবিশ্বজুড়ে মারণ ভাইরাস কোভিডের বাড়াবাড়ি চোখে পড়ার মতো৷ দিন যত এগোচ্ছে ততই পরিস্থিতি ভয়াবহ হচ্ছে৷ ভারতের অবস্থা এই মুহূর্তে সবথেকে খারাপ৷ ভারতীয় স্ট্রেনের সংক্রমণ ক্ষমতা কয়েকগুণ বেশি৷ খুব দ্রুত একজনের থেকে আর একজন আক্রান্ত হয়ে পড়ছে৷ অতি সংক্রামক এই স্ট্রেন তেকে বাঁচাতে হলে টিকা নিয়ে নেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ৷ একবার প্রতিষেধক শরীরে চলে এলে করোনায় আক্রান্ত হলেও আইসিইউ-তে ভর্তি হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে না৷ এখন টিকাই একমাত্র এখন ভারতীয়দের অসুস্থতা থেকে বাঁচাতে পারে৷ তাছাড়া এই ভারতীয় স্ট্রেন এখন গোটা দেশে নিজের প্রভাব বিস্তার করে উঠতে পারেনি৷ এই তথ্য দিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন (Soumya Swaminathan)। আরও পড়ুন-Coronavirus Cases In India: আশা জাগিয়ে কমছে দৈনিক সংক্রমণ, নতুন করোনা রোগীর সংখ্যা ৩ লাখ ২৯ হাজার ৯৪২

তিনি বলেছেন, ভারতে যে দু’ধরনের টিকা এই মুহূর্তে চলছে তা নতুন স্ট্রেনের জন্য কতটা কার্যকরী এখনও বোঝা যায়নি৷ তবে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর বড় কোনও অসুখ বা মৃত্যু এড়াতে ভাল কাজ করছে ওই দু’টি টিকা। তাই টিকা নেওয়া থাকলে অসুস্থ হলেও আপনাকে হাসপাতালে আইসিইউ-তে ভর্তি হতে হবে না। একটাই বার্তা দিতে চাই, সুযোগ পেলেই টিকা নিয়ে নিন। কারণ ব্রাজিল এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনাভাইরাসের যে প্রজাতি পাওয়া গিয়েছিল, ভারতে পাওয়া প্রজাতির মধ্যে ওই দু’য়ের চরিত্রই বর্তমান। যার ফলে ভাইরাসটি মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকেই নষ্ট করে দিতে সক্ষম হচ্ছে। বর্তমানে যে হারে ভারতে সংক্রমণ বাড়ছে, তা নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হু। ভারতের জন্যই গোটা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মোট সংক্রমিতের সংখ্যা এতটা বেড়ে গেছে। আরও গভীরে গিয়ে একেবারে আঞ্চলিক স্তরের পরিসংখ্যান ঘেঁটে এই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে হবে৷