
বাজারে মিনিকিট, বাঁশ কাঠির মত সরু চালের দাম বেশ কিছুদিন ঊর্ধ্বমুখী থাকায় সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়েছেন। এমন অবস্থায় চালের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজ্য সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। চালের বেআইনি মজুতদারি ও কালোবাজারি আটকাতে বাজারদর নিয়ন্ত্রণে গঠিত টাস্ক ফোর্স বাজার গুলিতে হানা দিচ্ছে। তবে নতুন চাল বাজারে আসার আগে এই সমস্যা পুরোপুরি কমবে না বলে রাইস মিল মালিক ও চাল ব্যবসায়ীদের একাংশ জানিয়েছেন। চাল কল মালিকরা জানাচ্ছেন, দু’বছর অন্য দেশে চাল রপ্তানি বন্ধ ছিল। তবে ২০২৪ সালের শেষের দিক থেকে ফের তা চালু হয়েছে। তার জেরেই রাজ্যে কিছুটা যোগানে ঘাটতি রয়েছে। বেঙ্গল রাইস মিল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল মালেক জানিয়েছেন, আর কিছুদিনের মধ্যে নতুন চাল বাজারে উঠলেই এই দাম নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। এপ্রিল মাসের পর দাম কিছুটা কমতে পারে বলে তিনি জানান।
অন্যদিকে বাজার দর নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকার গঠিত টাস্ক ফোর্সের সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলে জানান, চাহিদার তুলনায় এখন চালের যোগানে টান পড়েছে। মূলত মিনিকিট, বাঁশকাঠি, গোবিন্দভোগ ইত্যাদি চালের দাম কেজি প্রতি দশ টাকা বা তারও বেশি বেড়েছে। অন্যদিকে রত্না ও অন্যান্য তুলনামূলক কম দামের চালও কেজি প্রতি পায় ৫ টাকা বেড়ে গেছে। বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জানানো হয়েছে। তিনি নির্দেশ দিলে এব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।