credits: Pxhere

বর্তমান যুগের দ্রুতগতির জীবনে স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া সব বয়সের মানুষের জন্য একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ৩০ বছরের কম বয়সী ব্যক্তিরা ক্রমশ রক্তচাপ এবং সুগার সহ বিভিন্ন ধরণের দীর্ঘস্থায়ী রোগের শিকার হচ্ছেন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, অবনতিশীল জীবনধারা এবং খাদ্য-সম্পর্কিত সমস্যার কারণে রোগের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। যেভাবে মানুষের মধ্যে ঘুমের অভাব বা ঘুম সংক্রান্ত সমস্যা বাড়ছে, তাতে ভবিষ্যতে এই ধরনের রোগের ঘটনা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গবেষকদের মতে, যাদের পর্যাপ্ত ঘুম হয় না তাদের দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় বেশি থাকে।

অনিদ্রার রোগের কারণে একজন ব্যক্তির ঘুমাতে অসুবিধা হয়, রাতে তার ঘুম বারবার ব্যাহত হয় অথবা অনেক চেষ্টা করার পরেও সে ঘুমাতে পারে না। এই সমস্যায় ভুগলে সময়মতো চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া এবং চিকিৎসা করানো জরুরি, অন্যথায় এর গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে যে বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ অনিদ্রায় আক্রান্ত, এটি মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। অনিদ্রার অনেক কারণ থাকতে পারে চাকরির সমস্যা, পারিবারিক সমস্যা, আর্থিক সংকট বা অন্যান্য চাপপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। একইভাবে অনিদ্রার কারণে হতে পারে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হাঁপানির মতো রোগ।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, অনিদ্রার কারণ জানা এবং সময়মতো এর চিকিৎসা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনিদ্রা মানসিক চাপ-উদ্বেগ বা অন্য কোনও চিকিৎসাগত অবস্থার কারণে হলে এর জন্য মানসিক চিকিৎসা প্রয়োজন। অনেক সময় মানুষ ঘুমাতে পারলে নিজেরাই ঘুমের ওষুধ খেতে শুরু করে, তবে এর অনেক গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিজে নিজে ঘুমের ওষুধ খাওয়ার বিরুদ্ধে মানুষকে সতর্ক করা হচ্ছে। এই ওষুধগুলি মস্তিষ্ক থেকে শুরু করে হৃৎপিণ্ড এবং কিডনি পর্যন্ত শরীরের বিভিন্ন সিস্টেমের ক্ষতি করতে পারে। এই ধরনের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া প্রাথমিকভাবে গুরুতর না হলেও সময়ের সঙ্গে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলি গুরুতর হতে শুরু করে। তাই চিকিৎসার পরামর্শ ছাড়া এই ধরনের যেকোনও ওষুধ সেবন এড়িয়ে চলা উচিত নয়। অনিদ্রার আসল কারণগুলি জানা এবং সেই অনুযায়ী চিকিৎসা নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।