সুপ্রিম কোর্ট(Photo Credits: IANS)

নতুন দিল্লি, ২২ জানুয়ারি: এদিন সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় সুপ্রিম কোর্টে ১৪৪টি আবেদনের শুনানি হয়েছে। সব মিলিয়ে ১৬০টি আবেদন জমা পড়ে। এদিন শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, সিএএ-র বলবতে স্থগিতাদেশ দেওয়া হবে না। এনিয়ে সরকার পক্ষের মতামত শোনাটা জরুরি। এক মাস অর্থাৎ চার সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টে সিএএ নিয়ে তাদের জবাব পেশ করবে। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আইনজীবী কপিল সিব্বল আর্জি জানান, যতদিন না সুপ্রিম কোর্টে শুনানি শেষ না হয়, ততদিন যেন সিএএ কার্যকর না করা হয়। তবে সুপ্রিম কোর্ট সেই আর্জিতে সায় দেয়নি। মামলাকারীদের দাবি, নতুন আইন সেই সংবিধানকে আঘাত করছে। এই আইন নাগরিকদের জীবন ও মৌলিক অধিকার তথা সাম্যের অধিকারও লঙ্ঘন করছে।

সিএএ ও এনপিআরএ স্থগিতাদেশ দেওয়া হবে কি না তা পাঁচ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ খতিয়ে দেখবে। এদিনের শুনানিতে তাই জানাল সুপ্রিম কোর্ট। এদিন আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেল বেণুগোপাল পিটিশনের জবাব দেওয়ার জন্য ৬ সপ্তাহ সময়ের আবেদন করেছিলেন। পিটিশনারদের পক্ষে শীর্ষ আইনজীবী কপিল সিব্বলল আদালতের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন, আপাতত CAA-র বাস্তবায়ন এবং NPR নিয়ে গতিবিধি স্থগিত রাখা হোক। তবে সেই দাবি খারিজ করে দিয়ে শীর্ষ আদালত বলে, কেন্দ্রের জবাব না-শুনে নাগরিকত্ব আইনে স্থগিতাদেশ দেওয়া হবে না। তবে সিব্বলরা এই বিষয়কে সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠানোর যে আর্জি জানিয়েছিলেন, তা মেনে নেওয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে আদালত। আরও পড়ুন-Prashant Kishor: জনগণের অনিচ্ছায় নেওয়া সিদ্ধান্ত সরকারের শক্তি হতে পারে না, সিএএ প্রসঙ্গে অমিত শাহকে জবাব প্রশান্ত কিশোরের

উল্লেখ্য, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের সাংবিধানিক বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৪৪টি পিটিশন দাখিল হয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালতে। পরে আরও কয়েকটি আবেদন জমা পড়ে। সব মিলিয়ে এখন নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে ১৬০টি পিটিশন জমা পড়েছে। গত ১৮ ডিসেম্বর শুনানি শেষে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বোবদের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছিল, এই আইনে স্থগিতাদেশ দেওয়া হচ্ছে না। তবে এই আইন কতটা বৈধ, তা খতিয়ে দেখবে আদালত। শুনানির দিন ঠিক হয়েছিল ২২ জানুয়ারি। আর আজকের রায়ে শীর্ষ আদালত কেন্দ্রের কাছে জবাব তলব করল।