নতুন দিল্লি, ২২ জানুয়ারি: মঙ্গলবার লখনউতে জোর গলায় অমিত শাহ বলেছিলেন, বিক্ষোভে ভয় পাই না যাই হয়ে যাক না কেন সিএএ (CAA) প্রত্যাহার করা হবে না। বুধবার সুপ্রিম কোর্টে সেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বৈধতা নিয়ে শুনানি হতে চলেছে। এদিনই অমিত শাহকে সিএএ বলবৎ প্রশ্নে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন জেডিইউ নেতা Janata Dal(U) তথা মমতা ব্যানার্জি ও অরবিন্দ কেজরিওয়ালের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor)। এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, “জনগণের মতামত না নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া একটা সরকারের শক্তি হতে পারে না। যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁদের জন্য যদি বিন্দুমাত্র চিন্তা না থাকে, তাহলে যেভাবে এতদিন প্রচার করে আসছেন সেভাবেই সিএএ ও এনআরসি লাগু করে দেখান।”
রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর, রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, তিন তো শুধুমাত্র জনতা দলের সহ-সভাপতি নন, দুটি রাজ্যের ক্ষমতায় থাকা দলের নির্বাচন কৌশল ঠিক করার প্রধান কাণ্ডারিও বটে। আর এই দুই দল অর্থাৎ তৃণমূল কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টি বর্তমান সময়ে কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরোধিতায় সবার আগে রয়েছে। ক’দিন পরেই দিল্লিতে ভোট। পরের বছর পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোট। এই দুই রাজ্যেই থাবা বসাতে সবরকম চেষ্টা করছে বিজেপি। আর তা আটকানোর গুরুদায়িত্ব কিন্তু রয়েছে কিশোরের মাথাতেই। তাই তিনিই যদি বিজেপি বিরোধিতায় চুপ করে থাকেন, তাহলে তার প্রভাব পড়তে পারে দিল্লি ও বাংলাতে। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ, কেরালা, বিহার-সহ ১১টি রাজ্য জানিয়ে দিয়েছে তারা কেন্দ্রের এই দুই আইন কার্যকর করবে না। এই পরিস্থিতিতে গত কয়েক মাস ধরে ফ্রন্টফুটে খেলা শুরু করেছেন প্রশান্ত কিশোর। আরও পড়ুন-Citizenship Amendment Act: আজ সুপ্রিম কোর্টে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের শুনানি
Being dismissive of citizens’ dissent couldn’t be the sign of strength of any Govt. @amitshah Ji, if you don’t care for those protesting against #CAA_NRC, why don’t you go ahead and try implementing the CAA & NRC in the chronology that you so audaciously announced to the nation!
— Prashant Kishor (@PrashantKishor) January 22, 2020
এবার সরাসরি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন তিনি। বললেন, ক্ষমতা থাকলে নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি লাগু করে দেখান। এদিকে গতকালই অমিত শাহ বলেছেন “আমরা বিক্ষোভের ভয় পাই না। আমরা তো বিক্ষোভ, আন্দোলনের মধ্যে জন্মেছি, বড় হয়েছি। বিরোধী থাকার সময়ও আমরা একই কথা বলতাম। ক্ষমতায় আসার পরেও বলি। যে যাই বলুক এই দুই আইন কার্যকর হবে।” শাহের এই মন্তব্যের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই টুইট করলেন কিশোর। রাত পোহাতেই টুইটারে তার জবাব দিলেন প্রশান্ত কিশোর।