নতুন দিল্লি, ২২ নভেম্বর: সংশোধিত নাগরিক আইন তৈরি হয়েছে গত ডিসেম্বরে। আইন কার্যকরী হওয়ার পর বেশ কয়েকদিন কেটে গিয়েছে। এখনও সিএএ নিয়ে দেশজুড়ে চরম উত্তেজনার পরবিশে রয়েছে। এরমধ্যেই বুধবার ২২ জানুয়ারি দেশের শীর্য আদালতে সিএএ-র শুনানি। সব মিলিয়ে এদিন মোট ১৪৪টি মামলা উঠতে চলেছে প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে, বিচারপতি এস আবদুল নাজির ও বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার ডিভিশন বেঞ্চে। এর মধ্যে ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ ও কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের দায়ের করা মামলাও রয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে খবর, রাজধানী নয়াদিল্লি-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সিএএ নিয়ে এই আবেদনগুলি জমা পড়ে।
উল্লেখ্য, কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের দায়ের করা আবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে নাগরিকত্ব অর্জন বা অস্বীকার করার জন্য ধর্ম কারণ হতে পারে না। এই নাগরিকত্ব আইনটি সর্বাত্মক অসাংবিধানিক। IUML-এর বক্তব্য, সিএএতে সাম্যের অধিকার, মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করে, ধর্মের ভিত্তিতে অবৈধ অভিবাসীদের একটি অংশকে নাগরিকত্ব প্রদান করার ইচ্ছা পোষণ করা হয়েছে। ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর সংসদে সংশোধিত নাগরিক আইন পাশ হয়। বিলে বলা হয়েছে, ভারতের তিন প্রতিবেশী দেশ, আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে আগত অমুসলিম অর্থাৎ হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ, পার্সি, ও খ্রিস্টানদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দাবি করেছেন এই বিল একেবারেই মুসলিম বা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরোধী নয়। তাঁর দাবি ভারতের মুসলমানদের উপর এই বিলের কোনও প্রভাবই পড়বে না। তাঁরা যেমন ভারতের নাগরিক আছেন, তেমনই থাকবেন। আরও পড়ুন-Indian Railways: আইআরসিটিসি-র খাদ্য তালিকা থেকে বাদ কেরালা, ট্রেনে চড়লে মিলবে শুধু সামোসা কচুড়ি
২০১৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর নয়া নাগরিকত্ব আইন নিয়ে শুনানির জন্য প্রথমবার আবেদন জমা পড়ে। সিএএ এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ৬০টি আবেদন জমা পড়ে সুপ্রিম কোর্টে। সেগুলিরই শুনানি আজ।