দিল্লি, ৫ আগস্ট: স্বজনরা চেয়েছিলেন, তাই উন্নাওয়ের নির্যাতিতাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দিল্লি উড়িয়া আনা হয়নি। তবে বর্তমানে নির্যাতিতার শারীরিক পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে সিদ্ধান্তের বদল ঘটাল সুপ্রিম কোর্ট। লখনউয়ের কিং জর্জ মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটিতেই নির্যাতিতার চিকিৎসা চলছে। কিন্তু তাঁর নিউমোনিয়া ধরা পড়ায় এই মুহূর্তে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে, সেকারণএ তাঁকে এয়ার লিফটের মাধ্যমে দিল্লির এইমসে উড়িয়ে আনা হতে পারে। এমনই রায় দিল দেশের শীর্ষ আদালতের দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। হয়তো আগামী শুক্রবারই উন্নাওয়ের নির্যাতিতাকে ভর্তি করা হতে পারে রাজধানীর এইমসে। আরও পড়ুন-৯০ বছরের বৃদ্ধাকে ধর্ষণ ২৫ বছরের যুবকের
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীপক গুপ্ত ও বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর বেঞ্চেই রয়েছে উন্নাওয়ের নির্যাতিতার মামলাটি। সোমবার শুনানির সময়ে ডিভিশন বেঞ্চ আইনজীবী ভি গিরির কাছে নির্যাতিতার শারীরিক অবস্থা জানতেচাওয়া হয়। তাঁকে দিল্লিতে এয়ারলিফট করে নিয়ে আসা কতটা সম্ভব! নির্যাতিতা তরুণীর পরিবারের এই বিষয়ে মত রয়েছে কি না সেটাও জানতে চায় ওই দুই বিচারপতির বেঞ্চ।আইনজীবী গিরি জানান, লখনউয়ের কিং জর্জ মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি জানিয়েছে, নির্যাতিতা ও তাঁর আইনজীবী মহেন্দ্র সিংয়ের পরিস্থিতি সঙ্কটজনক। এখনও ভেন্টিলেশনেই রাখা হয়েছে তরুণীকে। গায়ে জ্বর রয়েছে। একটি অস্ত্রোপচারও করা হয় তাঁর। দিল্লির এইমসে স্থানান্তরিত করার ব্যাপারে নির্যাতিতার পরিবারের তরফে কিছু জানানো হয়নি।
বোঝাই যাচ্ছে দ্রুততার সঙ্গে পরবর্তী চিকিৎসা শুরু না হলে নির্যাতিতা তরুণীর শারীরিক সমস্যা আরও বাড়তে পারে। এহেন পরিস্থিতিতে একমাত্র এইমসেই চিকিৎসা হওয়াটা জরুরি। অন্যদিকে স্ত্রীর শেষকৃত্য সম্পন্ন করে ফের জেলে ফিরে গিয়েছেন একদিনের প্যারোলে মু্ক্তি পাওয়া নির্যাতিতার কাকা মহেশ সিং। তিনি এখন রায়বেরিলির জেলে থাকলেও খুব শিগগির সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মাফিক তিহাড় জেলে স্থানান্তরিত হবেন। সাত দিনের মধ্যে ট্রাক দুর্ঘটনার তদন্ত শেষ করে ১৫ দিনের মধ্যে আদালতে চার্জশিট পেশ করতে হবে। উন্নাও ধর্ষণ কাণ্ডে তদন্তকারী সিবিআই-কে এমনই নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। সেই নির্দেশিকা মেনেই সেঙ্গাবের বাড়িতে তল্লশি চালিয়েছে সিবিআইয়ের একটি দল, তাকে জেলে গিয়ে জেরাও করা হয়েছে।