পুনে, ২০ নভেম্বর: হিন্দি বই না আনায় ক্লাস টেনের ছাত্রকে শাস্তি দিলেন শিক্ষক। তাও আবার মারধর নয়। শান্তি হিসেবে ওই ছাত্রকে ১০০ বার ওঠবস (sit-up) করতে বলেন শিক্ষক। স্কুলেরই এক বাউন্সারকে (Bouncer) বলা হয় শাস্তির বিষয়টি তদারকি করতে। ওই ছাত্রের শরীরে দুটির বদলে একটি কিডনি (kidney) আছে। তা সত্ত্বেও সে ১০০ বার ওঠবস করে। এরপরই সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পেটের যন্ত্রনা শুরু হয়ে যায় তার। ঘটনাটি ঘটেছে পুনের (pune) মহাবীর ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে। ঘটনাটি সামনে আসার পরই অভিযুক্ত শিক্ষক ও বাউন্সারের বিরুদ্ধে জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্টে মামলা রুজু করা হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, সোমবার ক্লাস টেনের ওই ছাত্র হিন্দি বই স্কুলে আনতে ভুলে যায়। বিষয়টি জানতে পেরে শিক্ষক স্কুলেরই এক বাউন্সারকে পড়ুয়াকে শাস্তি দিতে বলে। অভিযোগ, এরপর ওই বাউন্সার পড়ুয়াকে দিয়ে ১০০ বার সিটআপ করায়। জন্মের পর থেকেই ওই ছাত্রের একটি কিডনি রয়েছে। ১০০ বার সিটআপ করার পর তার পেট এবং পায়ে তীব্র ব্যথায় শুরু হয়। ছাত্রের মায়ের অভিযোগ, ১০০ বার সিটআপ উঠবস করার পর তাঁর ছেলেকে ১৫ মিনিটের জন্য স্কোয়াটিং পজিশনে থাকতে বলা হয়েছিল। তিনি বলেন, "বাড়িতে এসে আমার ছেলে অসহ্য ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছিল। হিন্দি বইটি ভুলে গেছিল, যার জন্য তাকে প্রথমে ক্লাসের বাইরে দাঁড়াতে বলা হয়েছিল, এবং তারপরে বাউন্সার তাকে ১০০বার উঠবস করতে বলেছিল। আমার ছেলে আমাকে বলেছিল ৯৩ বার উঠবস করার পর সে পেটে ব্যথার কথা বলে। তখন বাউন্সার তাকে আবারও শুরু করতে বলেন। তারপরে তাকে ১৫ মিনিটের জন্য স্কোয়াটিং পজিশনে থাকতে বলা হয়েছিল।
এই বিষয়ে মহাবীর ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের প্রিন্সিপাল আলাকানন্দ সেনগুপ্ত (Alakananda Sengupta) বলেন, "ওই ছাত্রকে ১৫-২০ বার উঠবস করতে বলা হয়েছিল। এই পদক্ষেপ শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য আমাদের ব্যবস্থার একটি অংশ। না হলে আমরা কীভাবে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পারি?" কিন্তু স্কলে বাউন্সার? জবাবে তিনি বলেন, স্কুল চত্বরে বাউন্সারের উপস্থিতি শৃঙ্খলা রক্ষা এবং সুরক্ষার স্বা