নতুন দিল্লি, ৫ মে: ছাত্রী ও শিক্ষিকাদের নিয়ে আপত্তিসূচক মন্তব্য, ধর্ষণের ইচ্ছে প্রকাশ, নগ্ন ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে এই লকডাউনের মধ্যেই এখন আলোচনার শীর্ষে দিল্লির প্রাইভেট ইনস্টাগ্রাম গ্রুপ বয়েজ লকার রুম (Bois Locker Room)। এই গ্রুপের কিছু স্ক্রিনশট ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়েছে। দিল্লি পুলিশের কাছে আগেই অভিযোগ জমা পড়েছিল। এবার বয়েজ লকার রুমের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল পুলিশ। দক্ষিণ দিল্লির এই নামী স্কুলের ছাত্ররা ওই ইনস্টাগ্রামের গ্রুপটিতে নাবালিকাদের গোপনাঙ্গ নিয়ে আলোচনা করে বলে অভিযোগ। ছাত্রীদের ছবি শেয়ার করে গণধর্ষণের হুমকিও দিয়েছে। এই অভিযোগে ইতিমধ্যে বছর ১৫-র এক ছাত্রকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। এই তথ্য জানিয়েছেন দিল্লির মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল।
এক টুইটবার্তায় মালিওয়াল বলেন, “বয়েজ লকার রুম ম্যাটারের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই এফআইআর দায়ের হয়েছে। সোমবার সন্ধায় অভিযুক্ত ১৫ বছরের পড়ুয়াকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। তবে ধৃতকে বুঝতে হবে মেয়েদের হয়রান করাটা ভাল কাজ নয়। এই বার্তা সবার জন্য প্রযোজ্য।” জানা গিয়েছে বয়েজ লকার রুমের স্ক্রিনশট ভাইরাল হতেই ভারতের ধর্ষণ সংস্কৃতি ফের প্রকাশ্যে চলে আসে। দক্ষিণ দিল্লির এক ছাত্রী ওই স্করিনশট শেয়ার করেই বয়েজ লকার রুমের কৃতকর্ম প্রকাশ্যে নিয়ে আসে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সে লেখে, “দক্ষিণ দিল্লির ১৭-১৮ বছরের এক দল ছাত্র বয়েজ লকার রুম নামের প্রাইভেট ইনস্টাগ্রাম গ্রুপের সদস্য। যেখানে তারা সমবয়সী মেয়েদের বিকৃত ছবি পোস্ট করে কটূক্তি করে। আমার স্কুলের দুটি ছেলে এই গ্রুপে রয়েছে।” ওই ছাত্রীর শেয়ার করা স্ক্রিনশটে দেখা যায়, প্রচুর ছেলে নাবালিকাদের ছবি সেখানে দিয়েছে। এবং তাদের গণধর্ষণের পরিকল্পনা করছে। আরও পড়ুন- Abhijit Banerjee: ‘এই অর্থনৈতিক সংকটে আগে মানুষের হাতে টাকা দিতে হবে’, রাহুল গান্ধীকে বললেন নোবেলজয়ী অভিজিৎ ব্যানার্জি
The mobile phone of the apprehended student has been recovered and it is also being examined: Delhi Police Cyber Cell on Delhi school boys glorifying rape on a Instagram chatroom https://t.co/qiPO9eNgY5
— ANI (@ANI) May 5, 2020
দিল্লি পুলিশের তথ্যানুসারে দক্ষিণ দিল্লির এক নামকরা স্কুলের তরফে সাকেত থানায় এনিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগপত্রে, পুলিশকে ঘটনার তদন্ত করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। টেকনিক্যাল নজরদারি চালু হতেই বছর ১৫-র এক ছাত্রের রেজিস্ট্রেশন নম্বর পুলিশের হাতে আসে। সেই ছাত্রই ওই গ্রুপে ছবি শেয়ার করেছিল বলে অভিযোগ। পুলিশ অভিযুক্তের ঠিকানা খুঁজে পেতেই তার ফোন সুইচ অফ হয়ে যায়। সোমবার সন্ধ্যায় অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।