রাহুল গান্ধীর সঙ্গে আলাপচারিতায় অভিজিৎ ব্যানার্জি (Photo Credits: INC India)

নতুন দিল্লি, ৫ মে: আগে দ্রুততার সঙ্গে লকডাউন উঠুক। মঙ্গলবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের শুরুতেই একথা বলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ ব্যানার্জি (Abhijit Banerjee)। করোনভাইরাসকে কেন্দ্র করে লকডাউন চলছে গোটা দেশে। এর জেরে সমস্ত রকম উৎপাদন বন্ধ থাকায় ভারতের অর্থনীতির বেহালদশা তৈরি হয়েছে। এই অবস্থা থেকে দেশকে অর্থনীতির মূল স্রোতে ফেরাতে ঠিক কী কী করতে হবে তা জানতে ভিডিও কনফারেন্সের আয়োজন করেন রাহুল গান্ধী। তাঁর প্রথম অতিথি ছিলেন রিজার্ভ ব্যাংকের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন। আর আজ তাঁর অতিথি হলেন অভিজিৎ ব্যানার্জি। অভিজিৎবাবু বলেন, “যত তাড়াতাড়ি আমরা লকডাউনের বাইরে যেত পারব, ততই ভাল। তবে রোগের বিস্তারের কথাটাকে মাথায় রেখেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”

তিনি আরও জানান, মানুষের হাতে টাকা দেওয়া হোক, এই বিষয়ে জোর দিয়েছেন নোবেলজয়ী। বর্তমানে এই কাজ করছে মার্কিন প্রশাসন। এবং যাঁরা খাদ্য সংকটে ভুগছেন তাঁদের জন্য অবশ্যই অস্থায়ী রেশন কার্ডের বন্দোবস্ত করতে হবে। যাঁর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে তাঁকেই দিতে হবে এই অস্থায়ী রেশন কার্ড। আমাদের এখানে এখনও বড়সড় আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা হয়নি। ভারত ১ শতাংশ জিডিপির আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। আমেরিকা ১০ শতাংশ জিডিপির আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। লকডাউন পরবর্তিতে মানুষ যেন দেশের অর্থনীতির পুনর্জাগরণ নিয়ে আশাবাদী হতে পারে। আরও  পড়ুন- India’s COVID-19 Count: ভারতে রেকর্ড সংখ্যার নতুন আক্রান্ত, ২৪ ঘণ্টায় করোনা পজিটিভ ৩ হাজার ৯০০; মৃত্যু ১৯৫ জনের

আগে রঘুরাম রাজন জানিয়েছিলেন, করোনার কারণে লকডাউনের প্রভাব থেকে দেশের গরীব মানুষকে বাঁচাতে ৬৫,০০০ কোটি টাকার প্যাকেজ প্রয়োজন। দেশের বেকারত্বের হার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন রাজন এবং যথেষ্ট বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ভারতকে লকডাউন তুলতে হবে বলে জানান তিনি। এবার অভিজিৎ ব্যানার্জি বলেন, এই লকডাউনে সবথেকে দুর্বিষহ অবস্থা দরিদ্র সাধারণের। যে সব মানুষজন সামাজিক নিরাপত্তার বিবিধ প্রকল্পের আওতায় পড়ে না, তারাই আজ সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। ভিনরাজ্যের শ্রমিকরা কিছুটা হলেও খাবার পেতে পারেন, যদি আধার কার্ডকে ত্রাণ বিলির গেটওয়ে হিসেবে ধরা হয়।”