Myanmar Earthquake: পর পর দুটি জোরালো কম্পন আর চোখের সামনে ধূলিসাৎ হয়ে গেল সাজানো গোছানো শহর। শুক্রবারের ভূমিকম্পে মায়ানমারের মান্দালয় শহরে একের পর এক বহুতল আবাসন ভেঙে গুঁড়িয়ে গিয়েছে। কয়েক মুহূর্তের মধ্যে মাথার উপরের ছাদ হারিয়ে পথে বসেছেন শয়ে শয়ে মায়ানমারবাসী। চোখের সামনে বাসস্থানকে ধ্বংসাবশেষে পরিণত হতে দেখে কান্নায় রাস্তাতে বসেই হাহাকার জুড়েছেন তাঁরা। ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ২০০-র বেশি মানুষ। এদিনের কম্পনের প্রভাব এতই শক্তিশালী ছিল যে মায়ানমার থেকে প্রায় ৯০০ কিলোমিটার দূরে ব্যাঙ্ককেও (Bangkok) তা ব্যাপক ধ্বংসলীলা চালিয়েছে। ব্যাঙ্ককের একটি আকাশচুম্বী নির্মীয়মাণ বহুতল চোখের সামনে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। দুই দেশের ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞের নানা চিত্র সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ঘুরছে।
মায়ানমারের এই দুর্দিনে পাশে দাঁড়াল পড়শি দেশ ভারত। সাহায্যের হাত বাড়ালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মায়ানমারে ত্রাণ সামগ্রী পাঠাচ্ছে নয়া দিল্লি। শনিবার সকালে ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটি C130J বিমান গাজিয়াবাদের হিন্ডন বিমান ঘাঁটি (Hindon Air Force Station) থেকে প্রায় ১৫ টন ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে রওনা দিয়েছে মায়ানমারের (Myanmar) উদ্দেশ্যে।
ত্রাণ নিয়ে মায়ানমারের পথে উড়ে যাওয়ার আগের মুহূর্তেঃ
🇮🇳 dispatches first tranche of urgent humanitarian aid for the people of Myanmar. @IAF_MCC C-130 is carrying blankets, tarpaulin, hygiene kits, sleeping bags, solar lamps, food packets and kitchen set. A search & rescue team and medical team is also accompanying this flight.… https://t.co/ONzOsHFSp2 pic.twitter.com/0p3OtTIlj5
— Dr. S. Jaishankar (@DrSJaishankar) March 29, 2025
ভারতের পাঠানো ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে তাঁবু, স্লিপিং ব্যাগ, কম্বল, প্রস্তুত খাবার, জল পরিশোধক, সৌর বাতি, জেনারেটর সেট এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ-সহ আরও কিছু আপৎকালীন জিনিস। ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে মায়ানমারের উদ্দেশ্যে ভারতীয় বিমান বাহিনীর বিমানের রওনা দেওয়ার সেই ছবি শেয়ার করেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। লিখেছেন, মায়ানমারের জনগণের জন্য জরুরি মানবিক সাহায্যের প্রথম কিস্তি পাঠানো হল। একটি অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল এবং মেডিকেল টিমও সঙ্গে পাঠানো হয়েছে। বিদেশমন্ত্রী এও জানান, ভূমিকম্প কবলিত পড়শি দেশের উপর পর্যবেক্ষণ চালাবে নয়া দিল্লি। প্রয়োজনে পরবর্তীতে আরও সাহায্য পাঠানো হবে।