মুম্বই, ১১ মার্চ: মধ্যপ্রদেশে সরকারপক্ষের বিধায়কদের কিনে কমলনাথ সরকারকে পতে বসিয়ে ছাড়ল বিজেপি। বুধবার এনিয়ে মুখ খুলেই শিবসেনার মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত (Sanjay Raut)বলনে, “মহারাষ্ট্রে এমনটাই ঘটাতে চেয়েছিল বিজেপি। তবে সফল হয়নি। কোনওদিন হবেও না। আমাদের মতো শল্যচিকিৎসকরা অপারেশন থিয়েটারে বসে আছেন। কেউ যদি এখানে এসে ঘোঁট পাকানোর চেষ্টা করে তবে তারই অস্ত্রোপচার করে দেওয়া হবে। এটা ঠি যে মধ্যপর্দেশে রাজনৈতিক অস্থিতরতা তৈরি হয়েছে. তবে এর দায় বিজেপির নয়। কংগ্রেস নেতৃত্বের মধ্যেই রয়েছে অনেক চাপ। নেতারা অখুশি। প্রবীণ নেতারাই এই ঘটনার জন্য দায়ী। সিন্ধিয়াজির ক্ষমতা আছে তা মনে রাখতে হবে। একসঙ্গে ২২ জন বিধায়ককে দল থেকে ভাগিয়ে নিয়ে এলেন।”
ফের রাউত বলেন, “মধ্যপ্রদেশে সরকারকে নড়বড়ে করে দেওয়ার নেপথ্যে কোনও চাণক্যের কেলা কাজ করেনি। সবটাই জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার কৃতিত্ব।” এককথায় অমিত শাহর ক্ষীর খাওয়ার পথ বন্ধ করেদিলেন শিবসেনা নেতা। মহারাষ্ট্রের ক্ষমতা একেবারে আলাদা। মহারাষ্ট্র বিকাশ আগাধি ১০০ দিন আগে এক অপারেশন বানচাল করে দিয়েছে। নাহলে রাজ্যের বাইপাস হয়ে যেত। এখন আর সেসবের সম্ভাবনা নেই। মধ্যপ্রদেশের ভাইরাস মহারাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবে না। তাই চিন্তারও কোনও কারণ নেই। এদিকে বিজেপিতে যোগ দিয়েই তৈলমর্দনে নেমে পড়েছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতেই ভারতের ভবিষ্যৎ নিরাপদ। কংগ্রেস ছাড়ার একদিনের মধ্যে বিজেপিতে যোগ দিয়ে একথা বললেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া (Jyotiraditya Scindia)। জনগণের সেবায় লক্ষ্যপূরণ করতে পারেনি কংগ্রেস। একদিন কংগ্রেস যা ছিল আজ আর তা নেই। আরও পড়ুন-Jyotiraditya Scindia: মোদির হাতেই ভবিষ্যতের ভারত সুরক্ষিত, বিজেপিতে যোগ দিয়ে তোষণে নেমে পড়লেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া
Sanjay Raut, Shiv Sena on political situation in Madhya Pradesh: BJP tried to form govt in Maharashtra too but failed. No such operation will be successful here. Surgeons like us are sitting here in operation theatre. If anyone comes to do it, he himself will be operated upon. pic.twitter.com/dtLM8VRnwG
— ANI (@ANI) March 11, 2020
বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেপরেই সাংবাদিক সম্মেলন করেন সিন্ধিয়া। সেখানেই তিনি মোদির প্রশংসায় একেবারে পঞ্চমুখ। বলেন, “নরেন্দ্র মোদির হাতে ভারতের ভবিষ্যৎ নিরাপদ। তাঁর মতো কোনও প্রধানমন্ত্রীই ভারতে ইতিহাসে এত জনসমর্থন পাননি। আর মোদি একবার নন, তেমনই জন সমর্থন দুবার পেয়েছেন। দুটি ঘটনা আমার জীবনে আমূল পরিবর্তন এনেছে। প্রথমটা হল, যেদিন বাবা মারা গেলেন। আর দ্বিতীয়টি গতকাল। যেদিন আমি ঠিক করি জীবনের গতিপথটাই বদলে ফেলব।”