হাসিনা বেন (Photo Credit: Twitter)

দ্বারকা, ২০ ডিসেম্বর: এক পাকিস্তানি নাগরিককে (Pakistani Woman) ভারতের নাগরিকত্ব (Indian Citizenship) দিল গুজরাট (Gujarat) সরকার। হাসিনা বেন (Hasina Ben) নামের ওই মহিলা আদতে গুজরাতের ভানবাদ এলাকার বাসিন্দা। তিনি ১৯৯৯ সালে বিয়ে করেন এক পাকিস্তানি নাগরিককে। তারপর পাকিস্তানে শ্বশুরবাড়িতে চলে যান। স্বাভাবিকভাবেই ভারতীয় নাগরিকত্ব হারিয়ে ফেলেন তিনি। তবে সেখানে স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এর কিছুদিন পরেই প্রাক্তন স্বামীর মৃত্যু হলে দীর্ঘদিনের ভিসা নিয়ে ভারতে চলে আসেন হাসিনা বেন। এরপর ফের জন্মভূমিতে নাগরিকত্ব ফিরে পেতে শুরু হয় দৌড়ঝাঁপ। রাজ্য প্রশাসনের অফিসে গিয়ে তিনি প্রায় কেঁদে পড়েন। তবে দেশটা যখন পাকিস্তান তখন তো ভারতের নাগরিকত্ব ফিরে পেতে সমস্যা হবেই।

যাইহোক সমস্ত পারিপার্শ্বিক ঘটনা খতিয়ে দেখে আলাপ আলোচনা পর্যালোচনার পর হাসিনা বেনকে নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় গুজরাট সরকার ও ভারত সরকার। সেই সিদ্ধান্ত মতেই গতকাল ১৮ ডিসেম্বর গুজরাটের দেবভূমি দ্বারকা (Dwaraka) জেলার নাগরিকত্ব পেয়েছেন তিনি। সেখানকার জেলাশাসক নরেন্দ্র কুমার মীনা জানান বৃহস্পতিবার গুজরাট সরকারের তরফে হাসিনা বেনের হাতে ভারতীয় নাগরিকত্বে শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। আরও পড়ুন-Kailash Vijayvargiya: ‘মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন মমতা ব্যানার্জি, মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিন’ সিএএ ইস্যুতে আক্রমণাত্মক কৈলাস বিজয়বর্গীয়

উল্লেখ্য, সম্প্রতি সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাস হয়ে গিয়েছে। বিজেপি সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বেজায় ক্ষিপ্ত বিরোধীরা কেননা প্রতিবেশী পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের অমুসলিম নাগরিক যাঁরা ধর্ম বাঁচাতে এদেশে চলে এসেছেন। তাঁদেরই নাগরিকত্ব দেবে ভারত সরকার। তবে ওই তিন দেশের মুসলিমরা নাগরিকত্ব পাবেন না। এই আইন বৈষম্যমূলক ও দেশের সংবিধান বিরোধী আখ্যা দিয়ে জোরতার আন্দোলন শুরু করেছে দেশের মানুষ। বেঙ্গালুরু থেকে দিল্লি, বাংলা থেকে অসম ত্রিপুরা এই আগুনে জ্বলছে।