মমতা ব্যানার্জি ও বিজয়বর্গীয়(Photo Credit: PTI/Facebook)

কলকাতা, ২০: ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি জন্য পশ্চিমবঙ্গে আইনের শাসন বিপর্যস্ত হচ্ছে প্রতিমুহূর্তে তিনি মুখ্যমন্ত্রী হয়ে রাস্তায় নেমে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করছেন। এর ফলে অনুপ্রবেশকারীরা সাহস পেয়ে মাথায় উঠছে। রাজ্যজুড়ে ভাঙচুর ও অশান্তির আগুন জ্বালাচ্ছে। এর বড় কারণ অবশ্যই তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি। তিনি মানুষকে ভুল বুঝিয়ে বাংলার পরিস্থিতি অশান্ত করছেন. এই ধরনের কাজ করার পরে তাঁর আর মুখ্যমন্ত্রীর মতো সাংবিধানিক পদে থাকা মানায় না। এখনই পদত্যাগ করা উচিত। বৃহস্পতিবার রাজ্যে এসে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলীস বিজয়বর্গীয় (West Bengal in-charge Kailash Vijayvargiya) নজিরবিহীন ভাষায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে (Chief Minister Mamata Banerjee) আক্রমণ করলেন। ঠিক আগের দিন অর্থাৎ বুধবার দেশেজুড়ে আগুন জ্বালানোর জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah) দায়ী করেছিলেন। পরের দিন তার পাল্টা দিলেন কৈলাস।

এদিকে কৈলাস বিজয়বর্গীয়র বক্তব্যের জবাবে রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিমের প্রতিক্রিযা, ‘‘যোগীর রাজ্য উত্তরপ্রদেশে, অসমে এবং ত্রিপুরাতেও হিংসাত্মক আন্দোলন হয়েছে। তার জন্য উনি বরং ওঁর দলের হাতে থাকা ওই রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের উপদেশ দিন। মমতা ব্যানার্জি কোনও বর্গীর কৃপায় মুখ্যমন্ত্রী হননি। মানুষের ভোটে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। সুতরাং, কোনও বর্গীর কথার জবাব দেওয়ার দায় তাঁর নেই।’’

এদিন বিধাননগর পুর এলাকার জগৎপুরে মতুয়া সম্প্রদায়ের একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘বাংলার এই অবস্থার জন্য মুখ্যমন্ত্রী দায়ী। তিনি যেখানে পথে নেমে আন্দোলন করছেন, লোককে ভুল বোঝাচ্ছেন, সেখানে আইনশৃঙ্খলা কীভাবে বজায় থাকবে?’’ এই প্রেক্ষিতেই কৈলাসের মন্তব্য, মমতার আর মুখ্যমন্ত্রী থাকার অধিকার নেই। ওই অনুষ্ঠানে কৈলাসের সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া রাজারহাট-নিউটাউনের বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত। এ দিনই মেদিনীপুরে সিএএ-র সমর্থনে এক সভায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘‘দিদি, আপনি খেলছিলেন, আমরা দেখছিলাম। এ বার বিজেপি খেলবে, আপনাকে দেখতে হবে।’’ আরও পড়ুন-Citizenship Amendment Act Protests: নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি-র বিরোধিতায় পথে বিশিষ্টরা, সামনের সারিত অপর্ণা সেন

অন্যদিকে মমতা ব্যানার্জি সংসোধিত নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের তদন্ত মূলক সার্ভের দাবি জানিয়েছেন। এই খবরে নাকি বেজায় ব্যাথিত রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তিনি টুইট বা্র্তায় জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যেন খুব শিগগির এই দাবি প্রত্যাহার করে নেন।