Photo Source: WikiPedia

পুরী, ২৯ সেপ্টেম্বর: এবার পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে (Test Positive For Coronavirus) করোনার হানা। মন্দিরের অন্তত ৩৫১ জন সেবায়িত ও ৫৩ জন কর্মচারীর শরীরে মিলল কোভিড-১৯ এর জীবাণু। সবমিলিয়ে দ্বাদশ শতকের এই মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত মোট ৪০৪ জন করোনাভাইরাস পজিটিভ। মন্দিরের কর্মী ও সেবায়িতদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আনলেন পুরীর মন্দির কমিটির প্রশাসক অজয় জেনা। তিনি বলেন, সংক্রমণের ঘটনা ঘটলেও জগন্নাথ দেবের নিত্যপূজা অব্যাহত থাকবে। শুধুমাত্র আক্রান্ত কর্মী, সেবায়িতরা অনুপস্থিত থাকবেন। মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে গত মার্চ থেকে পুণ্যার্থীদের জন্য বন্ধ রয়েছে পুরীর শতাব্দী প্রাচীন জগন্নাথ দেবের মন্দির। অজয় জেনা জানিয়েছেন, করোনা আক্রান্ত সেবায়িতরা নিজেদের বাড়িতেই আইসোলেশনে আছেন। সেকারণে মন্দিরিরে রীতিনীতি জানা সেবায়িতের সংখ্যা কমেছে।

জগন্নাথ দেব, সুভদ্রা ও বলভদ্রের পপূজার্চনায় অন্তত ১৩-জন পুরোহিতের একটি দলের প্রয়োজন। পুরীর মন্দিরে বিষ্ঞুর উপাসনা হয়ে আসছে স্মরণাতীত কাল থেকে। যিনি এখানে জগন্নাথদেব রূপেই পুজো পেয়ে থাকে। এই নিত্যপূজায় সেবায়িতরা ছাড়াও ৩৯ জন পুরোহিতের উপস্থিতি আবশ্যক। পুরীর মন্দিরের বিশেষত্ব হল প্রত্যেক আচার একে অন্যের সঙ্গে যুক্ত। তাই সকাল সকাল পুজো শুরু হলে শেষ হয় প্রায় গভীর রাতে। মন্দিরের ঐতিহ্য মেনে এক রকম পুজো বাদ গেলে পরবর্তী পুজো আর করা যাবে না। যদি আগামী দিনে আরও অনেক সেবায়িত করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়েন, তাহলে সমস্যা হতে পারে। এসব ক্ষেত্রে মন্দিরের কাজকর্ম সঠিকভাবে চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রশাসকরা নতুন সেবায়িতদের কাজে লাগানোর বিষয়টি ভেবে দেখতে পারেন। এমনটাই জানালেন জগন্নাথ সংস্কৃতির গবেষক ভাস্কর মিশ্র।  পুরীতে সবমিলিয়ে ৯ হাজার ৭০৪ জনের শরীরে মিলেছে মারণ ভাইরাসের জীবাণু। যার মধ্যে পুরী পুরসভা এলাকাতে আক্রান্ত ১ হাজার ২৫৫ জন। এই জেলায় করোনার বলি ৫২ জন। সেই তালিকায় পুরী পুরসভার বাসিন্দা ৯। সেই ৯ জনের মধ্যে তিনজন ছিলেন পুরীর মন্দিরের সেবায়িত। আরও পড়ুন-Cat Que Virus: ফের বিপদের নাম চিন, নয়া ক্যাট-কিউ-ভাইরাস নিয়ে কেন্দ্রকে সতর্ক করল আইসিএমআর

এই ঘটনার পরেই মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে রথযাত্রায় যোগ দেওয়া সমস্ত সেবায়িতদের করোনা টেস্ট হয়েছে। সেই সময় ২জন সেবায়িতের শরীরে মারণ ভাইরাস মিলেছিল। রথযাত্রার এক মাস পর থেকেই পুরীতে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। সেবায়িতরা যাতে মারণ রোগের প্রকোপ থেকে সুস্থ থাকেন, সেজন্য তাঁদের পরিবারকে করোনা প্রতিরোধী হোমিওপ্যাথি ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছে।