নতুন দিল্লি, ২৯ সেপ্টেম্বর: এমনিতেই করোনার কাঁটায় ঘায়েল গোটা বিশ্ব। ভারতের অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে। এর মধ্যেই ফের নতুন চিনা ভাইরাসের প্রকোপের আভাস মিসেছে। এনিয়ে সতর্কবাণী শোনালেন আইসিএমআর-এর বিজ্ঞানীরা। এর নাম ক্যাট-কিউ-ভাইরাস (Cat Que Virus)। এমনিতেই করোনাকে চিনা ভাইরাস বলাতে প্রথম থেকে বারংবার আপত্তি জানিয়ে এসেছে বেজিং। তবে নতুন ভাইরাস যে চিনের সেবিষয়ে কোনও সন্দেহই নেই, এমনটাই জানাচ্ছে আইসিএমআর। মশার কিউলেক্স (Culex) প্রজাতির মধ্যে এই ক্যাট কিউ ভাইরাস থাকে। চিন ও ভিয়েতনামে শূকরের মধ্যেও এই ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে। ইনস্টিটিউশনাল এথিক্স কমিটির পূর্ব অনুমোদন নিয়ে ২০১৭ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে এ নিয়ে গবেষণা চালায় আইসিএমআর-ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি।
এর মধ্যেই আইসিএমআর-এর পুনের বিজ্ঞানীরা রাজ্য জুড়ে ৮৮৩ জনের ওপর পরীক্ষা চালিয়েছিলেন। দু'জনের শরীরে ক্যাট কিউ ভাইরাসের অ্যান্টিবডি পাওয়া যায়। আক্রান্ত দু'জনেই ছিলেন কর্নাটকের। ২০১৪ এবং ২০১৭ সালে তাঁদের শরীরে CQV-র অ্যান্টিবডি পাওয়া গিয়েছিল। গবেষকরা জানিয়েছেন, কোনও না কোনও সময়ে তাঁরা সিকিউভি আক্রান্ত ছিলেন। এই দুই নমুনায় সিকিউভি পাওয়ার অর্থ ভারতেও রোগটি ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আরও পড়ুন- Uttar Pradesh: বাড়ির সামনে যত্রতত্র থুতু ফেলতে নিষেধ করেছিলেন, প্রতিবেশির ১১টি পায়রাকে হত্যা করে রাগ মেটালো যুবক
এদিকে করোনাভাইরাস নিয়ে আক্ষরিক অর্থেই হিমশিম খাচ্ছে ভারত। আনলক পর্ব শুরু হওয়ার পর থেকে বাকি দেশগুলিকে পিছনে ফেলে সর্বোচ্চ সংক্রমণ তালিকায় দ্রুত দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে ভারত। যে হারে সংক্রমণ বেড়েছে সেই অনুপাতে মৃত্যু কম হলেও এক লক্ষের কাছাকাছি মৃত্যু খুব কম নয়। যদিও, আমেরিকা ও ব্রাজিলের পাশে এই মৃত্যু কমই। কিন্তু, ঘটনা হল, সংক্রমণ রোখার রাস্তা কিন্তু খুঁজে পায়নি ভারত। এখনও রোজ গড়ে ৭০ হাজারের উপর নয়া আক্রান্ত হচ্ছে। মাঝে সংখ্যাটা ৯০ হাজারে পৌঁছে গিয়েছিল। সংকটের এহেন পরিমণ্ডলে এ বার নয়া এই চিনা ক্যাট-কিউ-ভাইরাস ভারতের দরজায় টোকা মারছে। এমনিতেই করোনাভাইরাসের কার্যকরী প্রতিষেধক আবিষ্কার হওয়ার আগে পর্যন্ত দুনিয়াজুড়ে আরও কত লক্ষ মানুষের যে মৃত্যু হবে, কারও ধারণায় নেই। ভাইরাস সংক্রমণের সংকটকালে ভারতকে চিন নিয়ে ফের সতর্ক করল আইসিএমআর।