
গরমের টক দই ভীষণ উপকারী। তবে টক দই দিয়ে তৈরি লস্যি খাওয়ার থেকে সাধারণ টক দই খাওয়া বেশি কার্যকরী। অনেকের টক ধরে চিনি মিশিয়ে খান। এতে টক দই য়ের গুণ নষ্ট হয় উল্টে চিনি দেওয়ার ফলে শরীরে ক্ষতি হয়। তাই টক দই পাতে রাখুন। টক দই শরীরকে ঠান্ডা রাখে এবং প্রবায়োটিক গুণ রয়েছে।
তবে বেশ কিছু ক্ষেত্রে টক দই খাওয়া উচিত নয়। এমন কিছু রোগ রয়েছে যাদের টক দই খেতে বারণ করেন চিকিৎসকরা। যাদের জয়েন্ট পেন, আর্থারাইটিস সংক্রান্ত সমস্যায় রয়েছে তাদের টক দই খেতে বারণ করেন চিকিৎসকরা। এই সমস্ত রোগীরা টক দই খেলে জয়েন্টের ব্যথা বেড়ে যায়। ফলে তারা কষ্ট পান। এছাড়া যাদের হজমের গন্ডগোল রয়েছে কিছু খেলেই বদহজম হয় তাদের টক দই খাওয়া উচিত নয়।। বেড়ে যেতে পারে অ্যাসিডিটি। ফলে অম্বল কমার জায়গায় বেড়ে যাবে। পেট ফুলতে পারে। আবার যাদে
যারা সর্দি-কাশি তে ভোগেন বা এই সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে তাদেরও টক দই খাওয়া উচিত নয়। বিশেষ করে কাশি থাকলে একদমই টক দই খাবেন না। বেড়ে যাবে কাশি। অ্যাজমার রোগীরা টক দই এগিয়ে চলুন। যাদের ইউরিক অ্যাসিড বেশি রয়েছে। তারাও টক দই খাবেন না। ইউরিক অ্যাসিড বেশি থাকলে টক দই খেলে তা আরো বাড়তে থাকবে। তাই যাদের ইউরিক অ্যাসিড রয়েছে তারা টক দই এড়িয়ে চলুন। তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলবেন। টক দই শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। তবে এই ধরনের সমস্যা যাদের রয়েছে তারা টক দই খাওয়ার আগে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে নেবেন।