
দিল্লি, ১৬ এপ্রিল: গাজায় (Gaza) কোনও অনুদান প্রবেশ করতে পারছে না। ইজরায়েল (Israel) যবে থেকে গাজায় এক নাগাড়ে হামলা শুরু করেছে এবং অনুদান ঢোকার রাস্তা বন্ধ করেছে, তবে থেকে 'গণকবরে' (Mass Grave) পরিণত হয়েছে গাজা। সীমান্ত পার করে বিশ্বের কোনও অনুদান গাজায় প্রবেশ করতে পারছে না। ফলে সেখানে অপেক্ষারত প্যালেস্তিনীয় মানুষজনের পেটে পড়ছে না কোনও খাবার বা জল। একমাত্র 'কমিউনিটি কিচেন' চলছে গাজায়। যার মধ্যে অনেকগুলিকে ধ্বংস করা হয়েছে। ফলে গাজার মানুষ অভুক্ত অবস্থায় থাকছেন দীর্ঘদিন ধরে। গাজায় যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তার জেরে এবার গাজাকে গণকবরের সঙ্গে তুলনা করছে আন্তর্জাতিক বিশ্ব।
গত ২ মার্চ থেকে গাজার রাস্তা বন্ধ করেছে ইজরায়েল। গাজা সীমান্ত পার করে কোনো সাহায্য প্যালেস্তাইনের (Palestine) এই ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে পারছে না। আর সেই কারণেই গাজা বর্তমানে কবরস্থানে পরিণত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে এমএসএফের তরফে।
রাষ্ট্রসংঘের (UN) তরফে জানানো হয়েছে, য়ুদ্ধবিরতি চুক্তির আগে থেকেই গাজায় খাদ্য, ওষুধ, জলের মত প্রয়োজনীয় জিনিস ঢোকা বন্ধ করা হয়েছে। ফলে গাজায় যাঁরা জীবিত রয়েছেন, তাঁদের কার্যত অনাহারে দিন কাটতে শুরু করেছে। ফলে ইজরায়েলি হামলা ব্যাতীতও সেখানে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। সেই কারণেই গাজা ক্রমাগত গণকবরে পরিণত হতে শুরু করেছে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক বিশ্ব।
গত মাসে গাজায় থাকা অ্যাম্বুলেন্সে আগুন ধরানো শুরু করে ইজরায়েল। যার জেরে ১৫ জন চিকিৎসক এবং চিকিৎসা কর্মীর মৃত্যু হয়। ফলে রেড ক্রসের বহু কর্মীই বর্তমানে গাজায় প্রবেশ করতে চাইছেন না বলে খবর।
যার জেরে ফের রাষ্ট্রসংঘের তরফে সুর চড়ানো হয়। গাজায় যেখানে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি চিকিৎসক, চিকিৎসা কর্মী এবং স্বোচ্ছাসেবী সংগঠনের মানুষদের হত্যা করা হচ্ছে, তা যুদ্ধ অপরাধ। আর ইজরায়েল সেই যুদ্ধ অপরাধে সরাসরি যুক্ত বলেও উষ্মা প্রকাশ করে রাষ্ট্রসংঘ। গোটা গাজায় মানুষ মারার পরিকল্পনাকে ইজরায়েল নির্মমভাবে স্বার্থক করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয় রাষ্ট্রসংঘের তরফে।