নতুন দিল্লি, ১৪ জানুয়ারি: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় বিক্ষোভে শামিল গোটা দেশ। গতকাল দিল্লিতে এনিয়েই বৈঠকে বসেছল বিরোধীরা। কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বেই হয় বৈঠক। সেখানে অনুপস্থিত ছিলেন মমতা ব্যানার্জি, অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও মায়াবতী। এই বৈঠক প্রসঙ্গেই এদিন মুখ খুললেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। তিনি বলেন, “ঐক্যবদ্ধ হলে প্রতিবাদ করা সহজতর হয়। যদি ঐক্য না থাকে প্রতিবাদে কাজ হয় না। তবে ঐক্য না হলেও প্রতিবাদ বন্ধ হওয়া উচিত নয়। যদি ন্যায়সঙ্গত কারণে বিক্ষোভ হয়, তাহলে ঐক্যবদ্ধ হওয়া জরুরি। কিন্তু যদি ঐক্য নাও হয়, প্রতিবাদ থামানো উচিত হবে না।”
অমর্ত্য সেন আগেই বলেছিলেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সংবিধান বিরোধী। ১১ ডিসেম্বর সংসদে ওই আইন পাশ হয়। তার পরেই দেশ জুড়ে আন্দোলন শুরু হয়েছে। আইনে বলা হয়েছে, প্রতিবেশী পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে নিপীড়িত হয়ে যাঁরা ভারতে পালিয়ে এসেছেন, তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। অমর্ত্য সেনের বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুর। তাঁকে সমর্থনে টুইট বার্তায় লেখেন, “অমর্ত্যজি ইজ রাইট। বিরোধী দলগুলি জাতীয় ইস্যুতে একমত। কিন্তু রাজ্যের নানা বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে গুরুতর মতভেদ আছে। তাদের কোনও মঞ্চে ঐক্যবদ্ধ করা মুশকিল। তারা আঞ্চলিক স্বার্থকে আগে স্থান দেয়। সেজন্যই বিজেপি ৩৭ শতাংশ ভোট পেতে পারে।” আরও পড়ুন- Kerala Government: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে বৈধতার প্রশ্ন, সুপ্রিম কোর্টে গেল কেরালা সরকার
Nobel laureate Amartya Sen: For a protest,opposition unity is imp. as protest becomes easier.Unity is imp.if protest is for a proper reason but if there's no unity&we stop protesting,I don't agree to it.If there's no unity we still have to move,on whatever is necessary to be done pic.twitter.com/dmkHIQbUur
— ANI (@ANI) January 13, 2020
Amartyaji is right. The problem is that the Opposition parties are agreed on national issues, but divided in their various states. This is why it is difficult to assemble all of them on a common platform or front; they tend to put their local interests first. So BJP wins w/ 37%. https://t.co/94JUCfTBNY
— Shashi Tharoor (@ShashiTharoor) January 13, 2020
এর আগে একাধিকবার নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন অশীতিপর অর্থনীতিবিদ। সোমবারের বৈঠকে উপস্থিত ছিল না তৃণমূল কংগ্রেস, বহুজন সমাজ পার্টি, শিবসেনা, ডিএমকে এবং সমাজবাদী পার্টি। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপ দাবি করে যে তাদের বৈঠকে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি।