Sukanta Majumdar (Photo Credits: ANI)

নয়াদিল্লিঃ এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (West Bengal SSC Recruitment Scam)বড় রায় সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। ২৬ হাজার চাকরি বাতিল। যোগ্য-অযোগ্য আলাদা করা যায়নি তাই ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল বাতিলের রায় শীর্ষ আদালতের। চাকরি হারিয়ে অসহায় ২৫ হাজার ৫৭৩ জন শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী। এই গোটা ঘটনায় রাজ্য সরকারকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)।

২৬ হাজারের চাকরি বাতিল হতেই হুঁশিয়ারি সুকান্তর

সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে সুকান্ত বলেন, " ২৫ হাজার ৫৭৩ জনের চাকরি চলে গেল। ওঁদের পরিবার রয়েছে। কোথায় যাবে তাঁরা? এর জন্য দায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যারা ঘুষ দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন তাঁদের জন্য যোগ্যরাও বঞ্চিত হলেন। অযোগ্যদের বাঁচানোর জন্য ২৬ হাজার চাকরি বলিদান দিতে হল। এই গোটা ঘটনার দায় শুধুমাত্র তৃণমূল সরকারের।" এখানেই শেষ নয়, সুকান্ত আরও বলেন, "রাজ্য সরকারের স্কুল সার্ভিস কমিশন কেন জোগ্য-অযোগ্যদের পৃথকীকরণ করতে পারল না? যদি সঠিক পদ্ধতিতে পৃথকীকরণ হত তাহলেই ২৫ হাজার ৫৭৩ জনের চাকরি বাতিল হত না। অযোগ্যরা উচিত শিক্ষা পেতেন ও যোগ্যদের চাকরি বহাল থাকত। মমতা ও তাঁর দলের জন্য এতগুলো পরিবার পথে বসল।" এরপরই র্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, "রাম নবমী পার হলেই বিক্ষোভে পথে নামবে বিজেপি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চেয়ার থেকে উৎখাত করবই।"

আরও পড়ুনঃ এক ঝটকায় ২৫ হাজার চাকরি বাতিল করল সুপ্রিম কোর্ট, এসএসসির ২০১৬ সালের প্যানেল বাতিল করে নতুন করে গঠনের নির্দেশ

প্রসঙ্গত, এদিন এসএসএসি দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায়কেই বহাল রেখেছে শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, নতুন নির্বাচন প্রক্রিয়ার ব্যবস্থা করতে হবে রাজ্যকে। তবে কারা এই পরীক্ষায় বসতে পারবেন বা কীভাবে হবে নির্বাচন তা নিয়ে কোনও স্পষ্ট ধারণা দেয়নি মহামান্য আদালত। আগামী তিনমাসের মধ্যে হবে এই নির্বাচন প্রক্রিয়া। ততদিন পর্যন্ত বৈধ কর্মীরা নিজ নিজ দফতরেই কাজ করতে পারবেন।