নয়াদিল্লি: মহারাষ্ট্রের পুনে (Pune) শহরে এক চিকিৎসক ও তাঁর মেয়ে জিকা ভাইরাসে (Zika virus) আক্রান্ত হয়েছেন। পুনে মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের একজন স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, চিকিৎসকের শরীরে প্রথমে জ্বর এবং ফুসকুড়ি দেখা দেয়। এরপর তিনি একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতালে তাঁর রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে (এনআইভি) পাঠিয়েছিল। গত ২১ জুন রিপোর্ট আসে, ওই চিকিৎসক জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। চিকিৎসক পুনের ইরান্ডওয়ানে এলাকার বাসিন্দা, রিপোর্ট আসার পর তাঁর পরিবারের পাঁচ সদস্যের রক্তের নমুনাও পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। তাতে দেখা গিয়েছে তাঁর ১৫ বছর বয়সী মেয়ে জিকা ভাইরাসে সংক্রামিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন,শহরে এই দুটি মামলার খবর পাওয়ার পর পৌরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ মনিটরিং শুরু করেছে। এলাকায় অন্য কোনো সন্দেহভাজন মামলা না থাকলেও কর্তৃপক্ষ মশার বংশবৃদ্ধি রোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ মশার নমুনা সংগ্রহ করেছে। সাধারণ মানুষকে সচেতন করা এবং গর্ভবতী মহিলাদের স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জিকা সাধারণত কোনও গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি করে না, তবে এতে যদি একজন গর্ভবতী মহিলা সংক্রামিত হয় তবে এটি তাঁর ভ্রূণে মাইক্রোসেফালি (একটি অবস্থা যেখানে শিশুর মাথা স্বাভাবিকের চেয়ে ছোট) হতে পারে।
জিকা ভাইরাস কিভাবে ছড়ায়?
জিকা ভাইরাস সংক্রমিত এডিস মশার কামড়ে ছড়ায়। ডেঙ্গু এবং চিকুনগুনিয়ার মতো সংক্রমণের জন্যও এই প্রজাতির মশাকে দায়ী করা হয়। এই ভাইরাসটি প্রথম ১৯৪৭ সালে উগান্ডায় সনাক্ত করা হয়েছিল।