Atishi (Photo Credit: ANI/X)

দিওয়ালি আসলেই দিল্লিবাসীর কাছে আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়ায় দূষণ। বায়ুদূষণ থেকে জলদূষণ, এই সবই যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়ায় দিল্লি ও তাঁর পাশ্ববর্তী অঞ্চলগুলির ক্ষেত্রে। শুধু দিল্লি বলে নয়, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ ও পঞ্জাবের সীমান্ত লাগোয়া এলাকার মানুষজনও এই সমস্যার সম্মুখীন হয় প্রতিবছর। তবে কোনও রাজ্যের সরকারই এই নিয়ে বিশেষ পদক্ষেপ নেয় না। কারণ তাঁরা শুধু একে অপরের দিকে আঙুল তুলতেই ব্যস্ত। একদিকে পঞ্জাব ও দিল্লিতে আপ সরকার,  অন্যদিকে হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশে রয়েছে বিজেপি। ফলে একে অপরের দিকে দোষারোপের পালা প্রতিবছরের মতো এই বছরেও শুরু হয়েছে।

রবিবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অতিশি (CM Atishi) বলেন, "হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশে প্রতিবছর খড় বা চাষের বর্জ্য পদার্থ পড়ানো হচ্ছে। আর সেটার মাত্রা প্রতিবছরই বেড়ে যাচ্ছে এই দুই রাজ্যে। যার ফলে মারাত্মকভাবে বায়ুদূষণ হচ্ছে। তবে পঞ্জাবে কিন্তু এই পদ্ধতি ধীরে ধীরে কমানো হচ্ছে। যে কারণে সেই রাজ্যের জন্য খুূব একটা সমস্যা হচ্ছে না"। এদিন কেন্দ্র সরকারের প্রকাশিত একটি তথ্য দেখিয়ে অতিশি বলেন, "২০২১-এ পঞ্জাবে ৭১ হাজার ৩০০টি খামারের বর্জ্য পোড়ানোর ঘটনা ছিল, সেখানে ২০২৩ সালে সেটি কমিয়ে ৩৬ হাজার ৬০০ করা হয়। এমনকী ২০২৪- এ ২৭ শতাংশ কম হয়েছে। কিন্তু হরিয়ানায় এখনই ৩৪১ থেকে ৪১৭টি কেস সামনে এসেছে এবং উত্তরপ্রদেশে ২৪৪ থেকে ৪১৭টি কেস সামনে এসেছে বিগত ১৫ দিনেই"।

অতিশি আরও বলেন, "দিল্লি গাজিয়াবাদ থেকে প্রতিদিন অসংখ্য ডিজেলের বাস আসছে কৌশাম্বী বাস ডিপোতে। সেগুলি পরিবর্তন করা উচিত। বাসগুলি থেকে কালো ধোঁয়া বেরোতে থাকে। এগুলি ইচ্ছাকৃত পরিবর্তন করা হচ্ছে"। মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ, "এইসব ঘটনায় বিজেপি কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না। কারণ দিল্লিকে খারাপ করতে চাইছে। বিজেপি নোংরা রাজনীতি করছে"। অন্যদিকে যমুনার জল নিয়েও বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিকে কাঠগড়ায় তুলেছেন অতিশি। তাঁর মতে, হরিয়ানা থেকে প্রতিদিন ১৬৫ মিলিয়ন গ্যালন দূষিত রাসায়নিক জল ছাড়া হচ্ছে মুঙ্গেশপুর বাদশাপুর এলাকা থেকে। অন্যদিকে ৬৫ মিলিয়ন গ্যালন জল প্রতিদিন ছাড়ছে উত্তরপ্রদেশ সরকার।