জলদূষণ ও বায়ুদূষণ নিয়ে দিল্লি, হরিয়ানা, পঞ্জাব ও উত্তরপ্রদেশের মধ্যে অব্যাহত দ্বন্দ্ব। একদিকে যমুনাতে বিশাক্ত ফেনায় ভরে গিয়েছে। অন্যদিকে, অত্যাধিক হারে খড়ে পোড়ানোর কারণে দিল্লির সীমান্ত এলাকাগুলিতে কালো ধোঁয়ার ভরে গিয়েছে। আর এই নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা। দিল্লি সরকারের দাবি, রাসায়নিক জলগুলিকে পরিশোধিত করার কাজ চলছে। তবে এত পরিমাণে জল ছাড়া হচ্ছে যে সেই জলকে পিউরিফাই করার মতো পরিকাঠামো নেই। মুখ্যমন্ত্রী অতিশির (Atishi) মতে, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি নোংরা রাজনীতি করছে দিল্লিবাসীকে সমস্যায় ফেলার জন্য। তবে আপ সরকার বিজেপির সৃষ্টি করা সমস্যাগুলিকে মোকাবিলা করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এদিন যমুনার পরিস্থিতি পরিদর্শনে এসেছিলেন রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী।

অতিশি বলেন, হরিয়ানার ওয়াজিরাবাদ ব্যারেজ থেকে যে রাসায়নিক জল ছাড়া হচ্ছে, তাতে অ্যামোনিয়ার পরিমাণ যথেষ্ট বেশি। কালিন্দিকুঞ্জ ব্যারেজ থেকেও যথেষ্ট পরিমাণে রাসায়নিক জল ছাড়া হচ্ছে। কেন এই জল ছট ও দিওয়ালির সময়ই ছাড়া হয়? এর উত্তর বিজেপি শাসিত রাজ্যের সরকার দিতে পারবে না। জলে যে পরিমাণে অ্যামোনিয়া থাকছে তাতে সোনিয়া বিহার ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট, ভাগিরথী ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টও জল পরিষোধিত করতে পারছে না। আর এইজন্য দিল্লিবাসী পরিচ্ছন্ন জল সেভাবে পাচ্ছে না।

অতিশি আরও বলেন, একই অবস্থা বায়ুদূষণের ক্ষেত্রেও। গত বছর পঞ্জাব সরকার খড় পোড়ানো অর্ধেক কমিয়ে দিয়েছে। চলতি বছরে সেটা আরও ২৫ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে। অন্যদিকে হরিয়ানায় ২৩ শতাংশ বেড়েছে এবং উত্তরপ্রদেশে ৭০ শতাংশ বেড়েছে। এসবের থেকে পরিস্কার যে বিজেপি দিল্লিবাসীকে এত অপছন্দ করে যে তাঁদের সমস্যায় ফেলার চেষ্টা করছে। বিজেপি আম আদমি পার্টিকে পছন্দ করে না সেটা বুঝলাম, কিন্তু তাঁদের সাধারণ মানুষদের ওপর কিসের রাগ, সেটাই বোঝা যাচ্ছে না।