আমেদাবাদ, ২৭ মে: মহামারী করোনাভাইরাস ও তার জেরে চলতে থাকা টানা লকডাউন গুজরাটের বিয়ে শিল্পকে বড় রকমের ধাক্কা (weddings planned cancelled) দিয়েছে। এর ফলে গত দুমাসে গুজরাটে কমপক্ষে ৩০ হাজার বিয়ে বাতিল ও স্থগিত হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলে এমন তথ্যই দিয়েছেন হোটেল এবং রেস্তরাঁ অ্যাসোসিয়েশনের মুখপাত্র অভিজিৎ দেশমুখ। বিয়ের একেবারে পিক সিজন হল মার্চ এপ্রিল মাস। এই সময়েই গুজরাটে সবথেকে বেশি বিয়ের অনুষ্ঠানগুলি চলে। ওয়েডিং প্ল্যানার ডিভান শাহ বলেছেন, এ বছর মেগা বিয়ের কাজ পুরোপুরি মিস করলাম। যাঁদের বিয়ে আগে থেকে নির্ধারিত ছিল, তাঁরাও এখন আট দশজন ঘনিষ্ঠজনকে সাক্ষী রেখে প্রায় নমো নমো করেই বিয়েটা সেরে ফেলছেন।
যদিও ১৮ মে থেকে লকডাউন কিছুটা শিথিল হয়েছে। তবে হোটেল রেস্তরাঁ, মন্দির, পার্টির ভেনুগুলো আপাতত বন্ধই থাকছে। স্বাভাবিকভাবেই এখন বিয়ের আয়োজন করা বেশ মুশকিল হয়ে পড়েছে। যাঁরা বিয়ের জন্য আগাম বুকিং করেছিলেন তাঁরা সব অনুষ্ঠান বাতিল করেছেন। সামনের পিক সিজন আগামী ডিসেম্বর জানুয়ারি। এখন আমাদের সেই সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। অনেকেই এতদিনের জন্য বিয়ে ফেলে রাখতে রাজি হচ্ছেন না। তাঁরা বাড়িতে ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের ডেকে চারহাত এক করে নিচ্ছেন। ডিভান শাহর দুই ক্লায়েন্টও তেমনটাই করেছেন। এককথায় লকডাউনের মরশুমে মাথায় হাত ওয়েডিং প্ল্যানারদের। আরও পড়ুন- Rahul Gandhi: কঠোর লকডাউনে ভারতের অর্থনীতি দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হবে, ভিডিও বার্তায় রাহুল গান্ধীকে বললেন সুইডিশ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ
এই বিষয়ে ডেকরেটর ক্যাটারার অমল গান্ধী বলেন, সরকারি নির্দেশিকা বলছে, বিয়ের অনুষ্ঠানে ৫০ জনের বেশি আমন্ত্রিতর অনুমতি নেই। স্বাভাবিকভাবেই মেগা বিয়েতে আর কেউ আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। বেশ কয়েকজন দম্পতি এখন খাতায় কলমে বিয়ে সেরে পরবর্তিতে অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করেছেন। তবে বেশিরভাগই চাইছেন না অনুষ্ঠানের বিয়ে। কেননা বিয়ের অ্যালবামে থাকা ছবিতে অতিথিরা মাস্ক পরে আছেন, এটা কেউই দেখতে চান না। তাছাড়া ৫০ জনের খাবারের আয়োজন করাটাও সম্ভব নয়। তাই তো বেশিরভাগ বিয়ে আপাতত বাতিল হয়েছে। সময় ফের স্বাভাবিক হলে তখন সানাই বাজবে।