নতুন দিল্লি, ২৭ মে: “ভারত যদি কঠোর লকডাউনে যায় তাহলে দেশের অর্থনীতি দ্রুত ধ্বংস হয়ে যাবে। টানা লকডাউনের জেরে ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি বাধাপ্রাপ্ত হবে। ভারতে লকডাউন করে লাভের তুলনায় ক্ষতিই ডাকা হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে ভারতের অর্থনীতি দ্রুত ধ্বংস হবে।” বুধবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে ভিডিও বার্তায় একথাই বললেন সুইডেনের ক্যারোলিন্সকা ইনস্টিটিউটের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ইয়োহান গিইসাকা (Professor Johan Giesecke)। ভারতে একটা ওপর ওপর লকডাউন চলুক। যাতে করে সংক্রমণ ছড়ানো রোখা যায়। আবার অর্থনীতিও সচল থাকে। ওই সুইডিশ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ, ভারতে লকডাউন তুলতে হবে অত্যন্ত সন্তর্পণে, এক এক করে। হয়তো এই পদ্ধতি অবলম্বন করতে গিয়ে সম্পূর্ণভাবে লকডাউন তুলতে মাসখানেক সময় লাগতে পারে।
ভারত লকডাউন পরবর্তী স্ট্র্যাটেজি তৈরি করেনি, এনিয়ে দেশের সরকারের সমালোচনাও করেন ইয়োহান গিইসাকা। কোভিড সম্পর্কে তাঁর অভিমত, করোনাভাইরাস গোটা বিশ্বে দাবানলের মতো ছড়াচ্ছে। এটা এতটাই হালকা ধরনের রোগ যে ৯৯ শতাংশ আক্রান্তের শরীরে কোনও উপসর্গ নেই। বা থাকলেও খুব কম। হার্ভার্ড গ্লোবাল হেলথ ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর আশীষ ঝা মনে করেন, মানুষের মনে আত্মবিশ্বাস বাড়াতে গণহারে কোভিড-১৯ টেস্ট হোক। তিনি বলেন, “যখন লকডাউন উঠে অর্থনীতি সচল হবে তখন আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলতে হবে। যেখানে সংক্রমণের হার বেশি সেখানে টেস্ট বাড়াতে হবে। কোভিড-১৯ বিশ্বের শেষ মহামারী নয়। এবার আমরা মহামারীর দুনিয়ায় প্রবেশ করার বয়সে পৌঁছে গেছি। এই কোভিড মহামারীতে সবথেকে ভাল জায়গায় রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান ও হংকং-য়ের মতো দেশ। একইভাবে কোভিডে সবথেকে বিপর্যয়ে আমেরিকা, ইউরোপ, স্পেন ও ইটালি।” আরও পড়ুন- ICMR Removes Price Cap: কোভিড টেস্ট কিটের দাম আলোচনা করে ঠিক করুন, প্রাইস ট্যাগ তুলে নিয়ে রাজ্যগুলিকে পরামর্শ আইসিএমআর-এর
কিছুদিন আগে কোভিড সম্পর্কিত দেশের অর্থনীতির পুনর্জাগরণ নিয়ে রাহুল গান্ধী নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক ব্যানার্জি ও রিজার্ভ ব্যাংকের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজনের সঙ্গে ভিডিওয় বার্তালাপ করেন। সেই সময়ও তাঁদের থেকে বেশকিছু মূল্যবান মতামত এসেছিল।