নতুন দিল্লি, ৪ নভেম্বর: সপ্তাহে (Week) পাঁচ দিন ন'টা পাঁচটার ডিউটি। রোজ সকাল ১০ টায় বাড়ি থেকে অফিস (Office)। আর বিকেল ৫ টায় অফিস থেকে বাড়ি। চেনা এই ছকে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে আপনার জীবন। কিন্তু এবার সেই ছকে একটু অদল-বদল হতে চলেছে। আপনার রোজনামচার ফ্রি-টাইম (Free Time) থেকে এবার থেকে কমে যাবে আরও ১ ঘণ্টা সময়। কারণ এবার থেকে আর ৮ ঘণ্টা নয়, ৯ ঘণ্টার সাধারণ কর্ম সময় বেঁধে দিতে চলেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। খুব শীঘ্রই দেশে এমন আইন নিয়ে আসতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার, বলেই মিলছে খবর।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আর্থিক সংস্কার প্রক্রিয়ার অঙ্গ হিসেবে বেতন বিধি সংশোধনের কাজে হাত দেবে নরেন্দ্র মোদি সরকার (Narendra Modi Government)। যার খসড়াও তৈরি হয়ে গিয়েছে। এই খসড়াতেই রয়েছে ৮ ঘণ্টার পরিবর্তে ৯ ঘণ্টার সাধারণ কর্মসময় চালুর সুপারিশ। এই প্রস্তাব সম্পর্কে অবশ্য সাধারণ মানুষের মতামত চাওয়া হয়েছে সরকারের তরফে। বলা হয়েছে, ৯ ঘণ্টার সাধারণ কর্মদিবস হওয়া উচিৎ। অথচ ৮ ঘণ্টা করে ২৬ দিনের কাজের ভিত্তিতে মাসিক বেতন নির্ধারণের পক্ষে খসড়ায় সওয়াল করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রক (Ministry of Labour and Employment) গত ১ নভেম্বর তাঁদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে মজুরি সম্পর্কিত সেকশন ৬৭ আইনের অনুচ্ছেদ উল্লেখ করে প্রাথমিক খসড়া বিধি প্রকাশ করেছে। সেখানে সাধারণ মানুষের কাছে এক মাসের মধ্যে এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে অনুরোধ করা হয়েছে। এই সুপারিশ ঘিরে বিভিন্ন মহলে দেখা দিয়েছে ধন্দ। স্বাভাবিকভাবেই কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করেছে বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়নগুলি। CITU-র সহ সভাপতি একে পদ্মনাভন ইংরাজি সংবাদ মাধ্যম 'মিন্ট'-কে এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, "বহু সংস্থা ইতিমধ্যেই তাদের কর্মচারীদের দিনে ৯ ঘণ্টা করে কাজ করতে বাধ্য করছে। নয়া বেতন বিধির মাধ্যমে সরকার হয়তো সমস্ত প্রতিষ্ঠানে এটি চালু করতে চাইছে। অতীতে আমরা বেতন বিধির বিরোধিতা করেছিলাম। ভবিষ্যতেও নয়া রুলের বিরোধিতা করব। কারণ এই পদক্ষেপ দেশের শ্রমিক শ্রেণীর স্বার্থ বিরোধী।" আরও পড়ুন: Haryana Borewell Tragedy: ফের ৫০ ফুট গভীর গর্তে পড়ল শিশুকন্যা, হরিয়ানায় চাঞ্চল্য
যদিও বেতন সংক্রান্ত শ্রম বিধির মতই এই খসড়া নিয়মে জাতীয় ন্যূনতম বেতন সম্পর্কে কোনও আলোচনা করা হয়নি। বেতন বিধি সংক্রান্ত পুরনো বিধিতে যা বলা হয়েছে, তার অধিকাংশই স্থান পেয়েছে কেন্দ্রের নতুন খসড়ায়। কেবলমাত্র ভবিষ্যতে বেতন নির্ধারণের ক্ষেত্রে তিনটি ভৌগলিক বৈশিষ্ট্যকে প্রাধান্য দেওয়ার সুপারিশ (Recommendation) করা হয়েছে নয়া খসড়া প্রস্তাবে।