মহারাষ্ট্রের ওয়াসিম জেলার সবথেকে ছোট গ্রাম হল গণেশপুর। এই গ্রামে জনসংখ্যা মাত্র ২০০। গ্রামে রয়েছে একটিই জেলা পরিষদ প্রাথমিক বিদ্যালয়। সেখানে প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণি অবধি পড়ানো হয়। কিন্তু যেখানে গ্রামের জনসংখ্যাই ২০০, সেখানে খুদে পড়ুয়া আর ক’জন থাকবে! আপাতত গ্রামে প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়া রয়েছে একজনই।
তবে একমাত্র পড়ুয়া হওয়া সত্ত্বেও শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করা হয়নি কার্তিক সেগোকারকে (৮)। শুধুমাত্র তাঁর জন্যই চালু রাখা হয়েছে প্রাথমিক স্কুল। সেখানে তাঁকে পড়ান একজন শিক্ষক। একটি স্কুলে যা যা নিয়ম পালন করা হয়, তা সমস্ত কিছুই অনুসরণ করা হয় এই স্কুলে। সকালে স্কুল শুরু হয় জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে, এরপরে প্রার্থনার পর ঘড়ি ধরে ক্লাস শুরু হয়।
Maharashtra | A Zilla Parishad primary school in Ganeshpur village of Washim district runs only for one student
Population of the village is 150. There is only one student enrolled in the school for the last 2 years. I'm the only teacher in school: Kishore Mankar, school teacher pic.twitter.com/h6nOyZXlDf
— ANI (@ANI) January 23, 2023
জানা গিয়েছে, কার্তিক নামে ওই পড়ুয়া বর্তমানে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। তাঁকে যিনি পড়ান, তাঁর নাম কিশোর মানকর। ওই শিক্ষক রোজ ১২ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে স্কুলে আসেন শুধুমাত্র কার্তিককে পড়াতে। ওই শিক্ষক জানিয়েছেন, বিগত দুই বছর ধরে স্কুলের একমাত্র পড়ুয়া কার্তিক। গ্রামে তাঁর বয়সী অন্য কোনও নাবালক না থাকায়, তাঁকেই স্কুলে একা সমস্ত বিষয় পড়ান তিনি। বছরের নির্দিষ্ট সময়ে পরীক্ষাও হয়।একজন পড়ুয়া হলেও গ্রামের ওই স্কুলে যাবতীয় সরকারি পরিষেবাই পাওয়া যায়। এমনকী কার্তিকের জন্য মিড-ডে মিলের ব্যবস্থাও রয়েছে।
I teach him all the subjects. All the facilities given by the government including mid-day meal are being provided to the student: Kishore Mankar, school teacher (22.01)
— ANI (@ANI) January 23, 2023