লখনউ, ১৯ মে: পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর (Priyanka Gandhi) বাস পাঠানোকে কেন্দ্র করে উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস-বিজেপি চাপানউতোর। রাজ্যের মন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা সিদ্ধার্থনাথ সিং বলছেন,”আমরা প্রাথমিক তদন্ত করে দেখেছি। যে বাসের তালিকা দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে সব বাস নয়। এর মধ্যে বহু টু-হুইলার, অটো, ট্রাক্টর, ছোট গাড়ি এবং অ্যাম্বুল্যান্স আছে। এবার সনিয়া গান্ধীকে উত্তর দিতে হবে, কেন তাঁরা এমন প্রতারণা করছেন।” আরেক বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্রর (Sambit Patra) আবার দাবি, এই গাড়িগুলিতে বাস নেই তাই নয়, এর মধ্যে অনেক গাড়ি আবার আনফিট।
বিজেপির দাবি, শ্রমিকদের সাহায্য করাটা প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর উদ্দেশ্য নয়, রাজনীতিটাই তাঁর উদ্দেশ্য। এতে কংগ্রেসের পাল্টা দাবি, রাজনৈতিক কারণেই তাঁরা শ্রমিকদের সাহায্য করতে চাইলে বাধা দেওয়া হচ্ছে। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য এক হাজার বাস পাঠাতে চাইলে রাজি হয়ে যায় উত্তরপ্রদেশ সরকার। তাই বাসগুলি রাজ্যে আসার সম্মতি দেয় সরকার। আরও পড়ুন, সামাজিক দূরত্ব না মেনেই শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে' নাম নথিভুক্তকরণ, হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিকের ভিড়ে বাড়ছে করোনা-সংক্রমণের আশঙ্কা
কিন্তু মঙ্গলবার গভীর রাতে হঠাৎ রাজ্যের মুখ্য সচিবের তরফে কংগ্রেস নেত্রীকে চিঠি লিখে জানিয়ে দেওয়া হয়, বাসগুলি সরাসরি রাজ্যে ঢুকতে পারবে না। ৫০০ করে বাস নিয়ে যেতে হবে, দিল্লির সীমানাবর্তী গাজিয়াবাদ ও নয়ডাতে। রাত ২ টো নাগাদ প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে পাঠানো চিঠিতে আরও বলা হয়, বাস এবং চালকদের কাগজপত্র-সহ বাস সরকারকে হস্তান্তর করতে হবে। তাও সকাল ১০ টার মধ্যে। যা নিয়ে তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করে কংগ্রেস।
এদিকে গতকাল উত্তরপ্রদেশ থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরাতে ৩টি শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনের (Shramik Special Train) বন্দোবস্ত করে সরকার। সেই ট্রেনে ওঠার জন্য নাম লেখাতে ভিড়ে একাকার হয়ে পড়ে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের রামলীলা ময়দান ( Ramlila Ground)। উত্তরপ্রদেশের নানা প্রান্ত থেকে তাঁরা ছুটে আসেন নাম লেখাতে।