Chandrashekhar Azad Hits Out At KCR:  'মানুষের সাংবিধানিক অধিকারকে পিষে মারছে তেলেঙ্গানার সরকার', সাতসকালেই কেসিআর-কে তোপ চন্দ্রশেখর আজাদের
চন্দ্রশেখর আজাদ(Photo Credits: PTI)

নতুন দিল্লি, ২৭ জানুয়ারি: হায়দরাবাদে প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন সিএএ বিরোধী সভা করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হন ভীম সেনাপ্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ। তাঁকে গ্রেপ্তারির পর প্রায় জোর করেই দিল্লিতে ফেরত পাঠানো হয়। এই ঘটনায় সোমবার তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও-কে (Telangana Chief Minister K Chandrasekhar Rao) একহাত নিলেন দলিত নেতা। সোমবার সাতসকালে নিজের টুইটার হ্যান্ডলে এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন চন্দ্রশেখর আজাদ। রাজ্যের মানুষের মৌলিক অধিকারকে পায়ের তলায় পিষে মারছেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী। সিএএ, এনআরসি ও এনপিআ-এর বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ সমাবেশে জড়ো হাওয়া ছাত্রদের উপরে নির্বিচারে লাঠিচার্জ করল পুলিশ। তিনি ছাড়াও আরও অনেক আন্দোলনকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন সংসোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে হায়দরাবাদে (Hyderabad Police) সমাবেশ করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হলেন দলিত নেতা চন্দ্রশেখর আজাদ। মেহেদিপটনমের ক্রিস্টাল গার্ডেনে ছিল সমাবেশ দলিত আদিবাসী মুসলিমরা এই সমাবেশ ডেকেছিল, সেখানেই যান চন্দ্রশেখর আজাদ সঙ্গে সঙ্গেই গোসামহল থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ জানিয়েছে, সেই সমাবেশে যারা আজাদি স্লোগান দিচ্ছিলেন তাঁদের প্রায় প্রত্যেককেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ আগেই ২৬ জানুয়ারিতে সিএএ, এনআরসি ও এনপিআর বিরোধী জনসমাবেশ বাতিল করেছিল। তবে আজাদি স্লোগান দেওয়া বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তারির প্রসঙ্গে এখনও মুখ খোলেনি পুলিশ। চন্দ্রশেখর আজাদকে গ্রেপ্তারির পর হায়দরাবাদ পুলিশ জানায়, কোনও অনুমতি ছাড়াই সিএএ, এনআরসি ও এনপিআর- এর বিরুদ্ধে সমাবেশ করছিলেন তাই তাঁকে আটক করা হয়েছে। আরও পড়ুন-Chandrashekhar Azad: হায়দরাবাদে সিএএ-এনআরসি-এনপিআর বিরোধী সভায় গিয়ে গ্রেপ্তার চন্দ্রশেখর আজাদ

এর আগে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিরোধী বিক্ষোভে (anti-CAA) যোগ দিতে দিল্লির শাহিনবাগে (Shaheen Bagh) পৌঁছালেন ভীম সেনাপ্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ (Bhim Army chief Chandrashekhar Azad)। বুধবার সেখানে উপস্থিত হয়ে যুব সমাজের উদ্দেশে চন্দ্রশেখর বলেন, কেন্দ্রের বিপজ্জনক প্রকল্প সিএএ-কে রুখতে এই শন্তিপূর্ণ আন্দোলনে যোগ দিন। তিনি বলেন, “ শুধু সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন প্রত্যাহার বা এনআরসি-কে বন্ধ করে দেওয়াই নয়। ভারতের গণতন্ত্রকে বাঁচানোর জন্যই এই সংগ্রাম। বিজেপি সরকারের কবল থেকে দেশের সংবিধানকে রক্ষা করাই আমাদের লড়াইয়ের অন্যতম বক্তব্য।” এদিন শাহিবাগে পৌঁছাতেই ভীম সেনাপ্রধানকে সাদরে বরণ করে নেন আন্দোলনকারীরা। সংবিধানের প্রস্তাবনার প্রতিলিপি হাতে নিয়েই আন্দোলন স্থলে পৌঁছান চন্দ্রশেখর আজাদ।